মেহেরপুরের শোলমারী মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের অর্ধশতাধিক ছাত্রী অজ্ঞান হয়ে হাসপাতালে

মেহেরপুর অফিস: মাস সাইক্রেটিক রোগে অসুস্থ মেহেরপুর সদর উপজেলার শোলমারী মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের অর্ধশতাধিক ছাত্রীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গতকাল রোববার বেলা ১১টার দিকে বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষে পাঠদান চলার সময় আকস্মিক এ ঘটনা ঘটে।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাহবুব হোসেন জানান, শ্রেণিকক্ষে পাঠদান চলাকালে সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী সানজিদা খাতুন হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ে। প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য তাকে চিকিৎসকের কাছে পাঠানোর প্রস্তুতি চলাকালে সে অজ্ঞান হয়ে যায়। তার দেখাদেখি ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী মুক্তা অসুস্থ হয়ে পড়ে। সানজিদা ও মুক্তাকে হাসপাতালে পাঠাতেই পর্যায়ক্রমে ৭ম শ্রেণির ছাত্রী ববিতা, চামেলী, বৃষ্টি ও জয়া এবং ৮ম শ্রেণির ছাত্রী শারমিন, পাপিয়া, আলপনা, ঝর্ণা ও শাবনুর অসুস্থ হয়ে পড়ে। তাদের সকলকে নিয়ে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন শ্রেণির ছাত্রী অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে আসতে থাকে। বেলা সাড়ে ১২টা পর্যন্ত বিদ্যালয়ের ৬২ জন অসুস্থ ও অজ্ঞান হয়ে পড়া ছাত্রীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এছাড়া আরো অনেক ছাত্রীকে স্থানীয়ভাবে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাড়ি পাঠানো হয়। এদিকে বিদ্যালয়ের এতো ছাত্রী অসুস্থ ও অজ্ঞান হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ায় এলাকা জুড়ে আতঙ্ক বিরাজ করছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের অনুমতি নিয়ে বিদ্যালয় এক দিনের ছুটি ঘোষণা করা হয়।

এদিকে খবর পেয়ে মেহেরপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপক ফরহাদ হোসেন, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মঈনুল হাসান, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. শাহীনুজ্জামান, জেলা শিক্ষা অফিসার গাজী মোহাম্মদ রফিক, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার হোসনে মোবারক প্রমুখ হাসপাতালে যান এবং অসুস্থ ছাত্রীদের চিকিৎসার খোঁজখবর নেন।

মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. অলোক কুমার দাস জানান, মাস সাইক্রেটিক রোগে আক্রান্ত হয়ে ছাত্রীরা অসুস্থ হয়ে পড়েছে। অসুস্থ একজনের দেখাদেখি তার সঙ্গীরা অসুস্থ হয়ে পড়ে। তবে এতে দুঃশ্চিন্তার কিছু নেই। প্রাথমিক চিকিৎসায় ছাত্রীরা দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবে।

এদিকে শেষ সংবাদ পাওয়া পর্যন্ত বিকেলে দিকে সবাই বাড়ি ফিরে গেলেও মাত্র ৫ জন ছাত্রী হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। এরা হলো- ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী রেখা ও লাবণী, ৭ম শ্রেণির ছাত্রী কামেনী ও হিরা এবং ৮ম শ্রেণির ছাত্রী মুক্তা।