চুয়াডাঙ্গা সদর আধুনিক হাসপাতালের রুগ্ণদশার নগ্ন প্রকাশ
স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের সিলিং ফ্যান খুলে পড়ে চিকিৎসাধীন দু রোগী আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে মেল সার্জারি ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে। হাসপাতালের বৈদ্যুতিন পাখা খুলে রোগীর ওপর পড়ে দু রোগী আহত হওয়ার দৃশ্য দেখে অনেকেই বলেন, মাথার ওপর ছাদটাই না জানি কবে ধসে পড়ে!
জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা সদর আধুনিক হাসপাতালটি ১শ শয্যায় উন্নীত হলেও লোকবল দেয়া হয়নি। অবকাঠামো নির্মাণ কাজ চলছে। পুরাতন ভবনেই ঠাসাঠাসি করে রোগী রেখে যেমন স্বল্প সংখ্যক লোকবল দিয়ে চিকিৎসাসেবার কাজ চলছে, তেমনই ভবনের বেশ কয়েকটি স্থানে রসে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। পায়ঃনিষ্কাশনও ভেঙে পড়েছে। পায়খানাগুলোও ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এরই মাঝে ঝরে পড়তে শুরু করেছে সিলিঙের রড ভেঙে বৈদুতিন পাখা। গতকাল চলন্ত সিলিং ফ্যান খুলে পড়ে মেল সার্জারি ওয়ার্ডের ১১নং বেডের রোগী রহমান শেখ (৫০) ও ১২নং বেডের রোগী ওসমান (৪০)। আলুকদিয়া মনিরামপুরের রহমান শেখ অভিযোগ করে বলেন, ৪দিন ধরে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছি। দুদিন ধরেই নার্সদের বলছি ফ্যানটা যেভাবে শব্দ করে ঘুরছে, যেকোনো সময় ভেঙে পড়বে। আমার কথা কেউ কানেই করলো না। অথচ সেই ফ্যানেই আহত হতে হলো।
হাসপাতালের বৈদ্যুতিন যন্ত্রাংশ দেখভালের পাশাপাশি ডায়নামার চার্জে আছেন একজন। তিনি বলেছেন, নড়বড়ে ফ্যানসহ হাসপাতালের অবকাঠামো দেখভালের দায়িত্ব গণপূর্ত বিভাগের। এসব বিষয়ে পিডাব্লিউডিতে লিখিতভাবে জানিয়েও প্রতিকার মেলে না। ফলে এখন বৈদ্যুতিক পাখা খুলে রোগীদের ওপর পড়ছে। অবশ্য ডায়নামা ইনচার্জের বিরুদ্ধে অ্যানার্জি সেভ বাল্ব খুলে অন্য বাল্ব লাগানোর অভিযোগ রয়েছে।