সাপে কাটা রোগী হাসপাতালে নেয়ার পরও বাঁচানো যায়নি

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসকের বিরুদ্ধে কর্তব্য অবহেলার অভিযোগ

 

স্টাফ রিপোর্টার: সাপে কাটা রোগীকে দ্রুত চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেয়ার পরও বাঁচানো যায়নি। অভিযোগ উঠেছে, কর্তব্যরত চিকিৎসকের উদাসীনতার কারণেই রোগী সেলিনা বেগমকে (৬০) বাঁচানো সম্ভব হয়নি। গতকাল শুক্রবার ভোরে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে রোগীর মৃত্যুর পর নিকটজনেরা উত্তেজিত হয়ে উঠলে জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসকসহ সংশ্লিষ্টরা দরজা বন্ধ করে নিরাপদে সরে পড়েন।

জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা আলমডাঙ্গার পারকৃষ্ণপুর গ্রামের জুমাত আলীর স্ত্রী সেলিনা বেগম গতপরশু রাতে নিজ ঘরে ঘুমিয়ে ছিলেন। মধ্যরাতে তাকে সাপে দংশন করে। যন্ত্রণায় তিনি ঘুম থেকে জেগে উঠে পরিবারের সদস্যদের যন্ত্রণার বিষয়টি জানান। তাকে দ্রুত নেয়া হয় চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে। রাত ৩টার দিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তিনি মারা যান ভোরে।

রোগী সেলিনার ছেলে দুলালসহ নিকটজনদের অভিযোগ, হাসপাতালে নেয়ার পর চিকিৎসককে সাপে কাটার বিষয়টি বলার পরও চিকিৎসক তেমন পাত্তা না দিয়ে বলেন, বিড়ালে কামড়েছে। ভর্তি করার পর ওয়ার্ডে নেয়া হয়। পর্যবেক্ষণের কথা বলা হলেও রোগীর শয্যাপাশে ছিলেন না সেবিকা কিংবা চিকিৎসক। ভোরে যখন সেলিনা মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন তখন চিকিৎসককে ডেকেও পাওয়া যায়নি। মারা যাওয়ার পর ইমার্জেন্সিতে পাওয়া যায়নি কাউকে।

সাপে কাটা রোগীকে সু-চিকিৎসা দেয়ার জন্য যখন সর্বস্তর থেকে কবিরাজের বদলে দ্রুত হাসপাতালে নেয়ার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে, তখন হাসপাতালে নেয়ার পরও কর্তব্য অবহেলায় বা এন্টিস্নেক ভেনমের অভাবে রোগী মৃত্যুর বিষয়টি হতবাক করেছে। ক্ষোভের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিষয়টিকে খাটো করে না দেখে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন স্বাস্থ্য সচেতন অনেকে।