নারায়ণ ভৌমিক: জীবননগরের ডুমুরিয়া গ্রামে গত ২৭ দিনে ২৭ জন সর্প দংশনের শিকার হয়েছে। সাপ আতঙ্কের পর এবার জনমনে গুইমাছি আতঙ্ক বিরাজ করছে। গুইমাছির কামড়ে আহত ব্যক্তির ধারণা জিন ও সাপ এখন গুইমাছির রূপ ধারণ করে মানুষকে দংশন করছে। ফলে এলাকায় চিকিৎসার নামে ভণ্ড ওঁঝা কবিরাজের দৌরাত্ম্য ও অপচিকিৎসা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। বেহুলা লক্ষিণদারের নামে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ঝাড়ফুঁক, দেবদেবীর নামে তন্ত্রমন্ত্র জপ করে ও ব্লেড দিয়ে রোগীকে কাঁটাছেড়া করেছে কথিত ওঁঝা কবিরাজের দল।
গতকাল বৃহস্পতিবার বিকালে সরেজমিনে ডুমুরিয়া গ্রামে গিয়ে কথা হয় দিনমজুর কাওছার আলীর সাথে। তিনি জানান, কয়েকদিন আগে তার গায়ে গুইমাছি কামড় দেয়। পরে তার শরীরে তীব্র যন্ত্রনা শুরু হয়। তার ধারণা জিন-সাপ গুইমাছির রূপ ধারণ করে কামড় দেয়। জনমনে সাপ আতঙ্ক বিরাজ করায় ডুমুরিয়া গ্রামের ইলেকট্রিশিয়ান সজল হোসেন জানান, কথিত এক কবিরাজ গ্রামে এসে মাটির সানকিতে কিছু ফুল ও বালি ভর্তি করে তন্ত্রমন্ত্র পড়ে গ্রামের তিন রাস্তার মুখে ওই সানকি ভর্তি ফুল, বালি পুঁতে দিয়েছে। ওই কথিত কবিরাজ উপস্থিত জনতাকে বলেছেন, একমাথা রাস্তা ফাঁকা রাখা হলো সাপ ওই ফাঁকা রাস্তা দিয়ে বেরিয়ে গ্রাম ছেড়ে চলে যাবে। সাপের হাত থেকে রক্ষা পেতে গ্রামের কেউ কেউ হাতে বেঁধেছে কবিরাজের দেয়া সুতাপড়া, গাছ-গাছড়া ও মাদুলি। আর এ সুযোগে ভণ্ড ওঁঝা কবিরাজরা হাতিয়ে নিচ্ছেন কাড়িকাড়ি টাকা। বিভিন্ন গণমাধ্যমে ডুমুরিয়া গ্রামে জনমনে সাপ আতঙ্ক বিরাজ করা খবর প্রকাশিত হলে গত বুধবার দুপুরে স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা গ্রামটি পরির্দশন করেছেন। সাপে কামড়ালে রোগীকে সাথে সাথে বাঁধন দিয়ে হাসপাতালে নেয়ার পরার্মশ দিয়েছেন তারা।