স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গায় অতিবৃষ্টিতে আউশ, আমন, মরিচ, পানসহ গ্রীষ্মকালীন সবজির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের হিসাবে মাত্র এক সপ্তাহের বৃষ্টিতে ফসল ক্ষতি হয়েছে ৩৩ কোটি ৪২ লাখ ৯০ হাজার টাকার। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর চুয়াডাঙ্গা সদরসহ জেলার চার উপজেলা ফসলের ক্ষতির প্রতিবেদন চূড়ান্ত করেছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত ২৪ থেকে ৩১ জুলাই পর্যন্ত অতিবৃষ্টিতে ২ হাজার ৪৩০ হেক্টর জমির রোপা আউশ, ২ হাজার ১৭০ হেক্টরের রোপা আমন, ১ হাজার ৭৫০ হেক্টরের সবজি, ৩৯৫ হেক্টরের মরিচ ও ৪৫ হেক্টরের পান নষ্ট হয়েছে। এতে জেলায় চলতি মরসুমে ৬ হাজার ৮০৮ মেট্রিক টন রোপা আউশ, ১ হাজার ৫ মেট্রিক টন রোপা আমন, ১১ হাজার ২৫০ মেট্রিক টন সবজি, ২ হাজার ২০ মেট্রিক টন মরিচ ও ২৫ শতাংশ পান উৎপাদন কম হবে। রোপা আউশে ২০ কোটি ৪২ লাখ ৪০ হাজার, রোপা আমনে ৩ কোটি ১ লাখ ৫০ হাজার, সবজিতে ২ কোটি ২৫ লাখ, মরিচে ৬ কোটি ৬ লাখ এবং পানে ১ কোটি ৬৮ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। সব মিলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ৩৩ কোটি ৪২ লাখ ৯০ হাজার টাকা।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর চুয়াডাঙ্গার উপপরিচালক নির্মল কুমার দে বলেন, অতিবৃষ্টিতে যেসব ফসলের ক্ষেত তলিয়ে গিয়েছিলো, তার বেশির ভাগ থেকেই পানি সরে গেছে। যেসব জমির ফসল পুরোপুরি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, সেখানে নাবি জাতের আমন ধান এবং সবজি লাগাতে কৃষকদের পরামর্শ দেয়া হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের অনেকেই ইতোমধ্যে ধান ও সবজি চারা রোপণ শুরু করে দিয়েছেন। জেলার চারটি উপজেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে জীবননগর। কৃষি বিভাগের চূড়ান্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী এ উপজেলায় কৃষকের ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২৩ কোটি টাকা।
জীবননগর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার কার্যালয়সূত্রে জানা গেছে, ওই এক সপ্তাহের বৃষ্টিতে উপজেলায় ৮৫০ হেক্টর জমির সবজি, ৮০০ হেক্টরের রোপা আউশ ও ১৫০ হেক্টরের মরিচ নষ্ট হয়েছে। উপজেলার সীমান্ত ইউনিয়নের হরিপুর গ্রামের কৃষক নজির আহমেদের ১৫ বিঘা জমির রোপা আউশ পানিতে ডুবে গেছে। একই গ্রামের রাজা মিয়া ও হাসান আলী জানান, তাদের দুজনের পাঁচ বিঘা করে ধান নষ্ট হয়ে গেছে। বেনীপুর গ্রামের রবিউল ইসলাম বলেন, অতিবৃষ্টিতে তার তিন বিঘা জমির সবজি নষ্ট হয়ে গেছে।