কষ্টে বওয়া জীবন: বাঁচার আকুতি

শরীর থেকে দুটি পা বিচ্ছিন্নের বছরখানেকের মাথায় ধরা পড়েছে ক্যানসা

 

স্টাফ রিপোর্টার: সেই ছোটবেলা থেকেই জীবনটা কামরুজ্জামান কালুর কাছে যেন বোঝা। গ্যাংরিন নামক রোগ তাকে একটি দিনও সুস্থ থাকতে দেয়নি। তাই বলে ঘরে বসে থাকা? না। অন্যের কাছে হাত পাতাও নয়। দীর্ঘদিন ধরে সংবাদপত্র বিক্রি করে স্ত্রী ও দু কন্যাসহ এক পুত্রের সংসার চালিয়ে মধ্যবয়সে এসে এখন বড্ড অসহায় হয়ে পড়েছেন।

চুয়াডাঙ্গা দৌলাতদিয়াড় দক্ষিণপাড়ার কামরুজ্জামান কালুর শরীর থেকে দুটি পা বছরখানেক আগে বিচ্ছিন্ন করা হয়। হুইল চেয়ারে বসেই তিনি চুয়াডাঙ্গার মালিক টাওয়ারের লিফট পরিচালনার চাকরি নিলেন। দু মেয়ের বিয়ে হয়েছে। ছেলে এখনও কিশোর হলেও পরের দোকানে কাজ আর পিতার গ্রাহকদের কাছে পত্রিকা পৌঁছে দিয়ে যা পাচ্ছিলো তা দিয়ে মোটামুটি চলছিলো সংসার। এর মাঝে কামরুজ্জামান কালুর শরীরে দেখা দিলো টিউমার। টিউমারটি শরীর থেকে অপসারণের জন্য আজ সোমবার চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে অস্ত্রোপচার করা হচ্ছে। চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের সার্জারি কনসালটেন্ট ডা. নূরুদ্দীন রুমি অস্ত্রোপাচার করছেন। খানেকটা ঝুঁকি নিয়েই তিনি অস্ত্রোপচার করছেন। কারণ এ ধরনের অস্ত্রোপচার সদর হাসপাতালে ইতঃপূর্বে হয়নি। রোগী কামরুজ্জামান কালুকে রেফার করা হলেও অর্থাভাবে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিতে না পারায় ডা. রুমি অপারেশনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এ সিদ্ধান্তকে অনেকেই সাধুবাদ জানিয়েছেন। অস্ত্রোপচারে টিউমার অপসারণ না হয় হলো। এরপর? সুস্থতা কি মিলবে? না, চিকিৎসকেরা বলেছেন, কামরুজ্জামান কালুর শরীরে বাসা বেঁধেছে ক্যানসার। তাকে দ্রুত ঢাকা ক্যানসার ইন্সটিটিউটে নিয়ে ভর্তি করাতে হবে।

ক্যানসার রোগ চিকিৎসার টাকা? শৈশব থেকে যে মানুষ রোগের সাথে লড়াই করে জীবনযুদ্ধে হাবুডুবু খাচ্ছেন তার পক্ষে চিকিৎসার খরচ জোগানো অসম্ভব। ফলে জীবন বাঁচাতে কামরুজ্জামান কালু সকলের নিকট সহযোগিতার অনুরোধ জানিয়েছেন। সহযোগিতা গ্রহণের জন্য কামরুজ্জামান কালুর স্ত্রী মালেকা বেগমের নামে ব্যাংকে একাউন্ট খুলেছেন। উত্তরা ব্যাংক চুয়াডাঙ্গা শাখার সঞ্চয়ী হিসাব নং ১১১০০১২০৩০০।