চুয়াডাঙ্গার সদ্য বদলিপ্রাপ্ত উপজেলা শিক্ষা অফিসার মিলনের বিরুদ্ধে অভিযোগ
স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার প্রাক-প্রাথমিক শ্রেণির শিক্ষা উপকরণ কেনার ৪ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন উপজেলা শিক্ষা অফিসার আক্তারুজ্জামান মিলন। টাকা আত্মসাতের পরই কৌশলে তিনি অন্যত্র বদলি হয়ে চলে গেছেন। ফলে ক্ষুব্ধ হয়েছেন উপজেলার শতাধিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ। বাধ্য হয়ে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক কল্যাণ সমিতির সভাপতি মো. আজিম উদ্দীন ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগ ও অনুসন্ধানে জানা গেছে, ২০১৪-১৫ অর্থ বছরের জন্য চুয়াডাঙ্গার ১১৩ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষা উপকরণ কেনার জন্য ৫ লাখ ৬৫ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয় সরকার। সে মোতাবেক প্রত্যেক বিদ্যালয়ের নিজস্ব ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ৫ হাজার টাকা করে স্থানান্তর করার কথা। কিন্তু চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো. আক্তারুজ্জামান মিলন তা না করে ১ হাজার টাকার শিক্ষা উপকরণ ও নগদ ৫শ টাকা করে দিয়ে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রে প্রধান শিক্ষকদের স্বাক্ষর করিয়ে নিতে থাকেন। জেলা শহরের এমএ বারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাবিউল মওলার ওপর এ দায়িত্ব দেন তিনি। কতিপয় প্রধান শিক্ষকের যোগসাজশে ৮৭ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানদের স্বাক্ষর নিলেও বেঁকে বসেন অনেক প্রধান শিক্ষক। বিষয়টি জানাজানির পর জুলাই মাসের শেষ দিকে ২৬টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় নিম্নমানের ওই উপকরণ ও ৫শ টাকা প্রত্যাখ্যান করে। শিক্ষক কল্যাণ সমিতির সভাপতি মো. আজিম উদ্দীন মাথাভাঙ্গায় অভিযোগ করে বলেন, ‘শিক্ষা অফিসার আক্তারুজ্জামান মিলন উপকরণ কেনার প্রায় ৪ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে গত ৯ জুলাই আকস্মিক চুয়াডাঙ্গা থেকে বদলি হয়ে বরগুনার বেতাগী উপজেলায় চলে যান। সেখানে উপজেলা শিক্ষা অফিসার হিসেবে ১২ জুলাই যোগদান করেন। কিন্তু আমরা তাকে ছাড় দেবো না। আমি প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক বরাবর অভিযোগপত্র তৈরি করেছি।’ এ ব্যাপারে অভিযুক্ত উপজেলা শিক্ষা অফিসার আক্তারুজ্জামান মিলনের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার মোবাইলফোনটি বন্ধ থাকায় সম্ভব হয়নি।