আলমডাঙ্গায় বিকাশ এজেন্টের ২৮ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ

আলমডাঙ্গা ব্যুরো: বিকাশের বিরুদ্ধে অভিনব কৌশলে আলমডাঙ্গার পাইকপাড়া বাজারের জোয়ার্দ্দার টেলিকম নামের বিকাশের এজেন্টের ২৮ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় শঙ্কিত হয়ে পড়েছেন এলাকার বিকাশের এজেন্টরা।

জানা গেছে, আলমডাঙ্গার পাইকপাড়া গ্রামের আক্কাস আলী জোয়ার্দ্দারের ছেলে ইউসুফ আলী দীর্ঘদিন ধরে পাইকপাড়া বাজারে জোয়ার্দ্দার টেলিকম নামের মোবাইলফোন ফ্লেক্সিলোডের ব্যবসা করেন। সাথে তিনি বিকাশের এজেন্টশিপ নিয়ে বি টু বি অর্থ লেনদেনের ব্যবসা করে আসছেন। গত বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে বিকাশের কাস্টমার কেয়ারের পরিচিত ১৬২৪৭ নম্বর থেকে ফোন করে বলেন, স্যার এসআর আপনাকে কোনো তথ্য জানিয়েছেন? না তাকে কোনো তথ্য জানাননি বলে ইউসুফ আলী তাকে প্রত্যুত্তরে জানায়। এ কথা শোনার পর কাস্টমার কেয়ার থেকে আসা কল কেটে দেয়া হয়। এরপর বিকাশ টু বিকাশ (বি টু বি) থেকে আবারও কল আসে। যার সাথে ইউসুফ আলী বিকাশের লেনদেন করেন তিনিই রিং দিয়েছেন। সে সময় পরিচিত এসআর তাকে জানায়, কোম্পানি একটা নতুন অপশন খুলেছে। আপনার নিকট যাওয়া হয় না। আমি একটা মোবাইল নম্বর দিচ্ছি। এই নম্বরে হেড অফিস থেকে কেউ রিং করে আপনাকে যা যা করতে বলবেন, আপনি তাই তাই করবেন। এসআর ফোন কেটে দিলে তার ৫ মিনিট পর সেই নম্বর থেকে কল আসে। সেই নম্বর থেকে যা যা করতে বলে ইউসুফ আলী তাই তাই করেছেন। নির্দেশনা শেষে ফোন কেটে দিলে ইউসুফ আলী দেখেন তার সকল ব্যালেন্স শেষ। তার ব্যালেন্স ছিলো ২৮ হাজার টাকা। বিনা মেঘে বর্জ্রপাতের মতো এ ঘটনার আকস্মিকতার ঘোর কাটতেই ইউসুফ আলী বিকাশ কাস্টমার কেয়ারের পরিচিত এসআর’র নম্বরে রিং দিয়ে অভিযোগ করেন, আপনি যা যা করতে বললেন, আমি তাই তাই করেছি। তাহলে আমার ২৮ হাজার টাকা ব্যালেন্স কেটে নিলেন কেন? এ প্রশ্ন শুনে এসআর ওই ঘটনা অস্বীকার করে বলেন, তিনি তো ইউসুফকে রিং-ই করেননি। স্বয়ং বিকাশ কর্তৃপক্ষের নিকট থেকে এমন প্রতারণার ঘটনায় বিকাশের এজেন্ট ইউসুফ আলী মর্মাহত ও ক্ষুদ্ধ। ঘটনাটি আলমডাঙ্গা থানা পুলিশকে অবহিত করেছেন বলে তিনি জানিয়েছেন।

এ সংক্রান্ত বিষয়ে জানতে গতকাল রোববার রাতে বিকাশের হেল্পলাইন ১৬২৪৭ নম্বরে ফোন করা হলে কর্তব্যরত কাষ্টমার কেয়ার এক্সিকিউটিভ মাথাভাঙ্গাকে জানান, হেড অফিস থেকে এজেন্ট অথবা গ্রাহকের কাছে ফোন করা হলে তাদের নির্ধারিত হটলাইন নাম্বার ১৬২৪৭ থেকেই করা হয়ে থাকে। এ নম্বরের পরে যে # (হ্যাশ) ব্যবহার করা হয়েছে এটিই প্রতারণা। # (হ্যাশ) কীভাবে যোগ করে কারা এজেন্টের কাছে ফোন করছে সে ব্যাপারে কোনো তথ্য দিতে পারেনি বিকাশ কাস্টমার কেয়ার। তবে তারা পুরো বিষয়টি প্রতারণা বলে উল্লেখ করে এজেন্ট ও গ্রাহকদের সতর্ক থাকতে বলেছেন।

এদিকে এ ঘটনা শোনার পর অনেকে এটাকে বাঘের ঘরে ঘোগের বাসা বলে মন্তব্য করছেন। এলাকার বিকাশের এজেন্টরা শঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। অনেক এজেন্ট অভিযোগ করে বলেছেন, মোবাইলের মাধ্যমে বিকাশেই সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়ে থাকে। অথচ এর সিস্টেমের কিছু দুর্বলতা রয়েছে। তা জানা সত্ত্বেও কর্তৃপক্ষ সে ত্রুটি দূর করতে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেন না।

Leave a comment