আলমডাঙ্গার কেইউপি বালিকা দাখিল মাদরাসায় ৩ জন শিক্ষক নিয়োগকে কেন্দ্র সদস্যদের পদত্যাগে বাধ্য করার অভিযোগ

 

স্টাফ রিপোর্টার/আলমডাঙ্গা ব্যুরো: আলমডাঙ্গার কেইউপি হামিদিয়া ছিদ্দিকিয়া বালিকা দাখিল মাদরাসায় ৩ জন শিক্ষক নিয়োগকে কেন্দ্র করে অর্থলোলুপ হয়ে উঠেছে ম্যানেজিং কমিটির প্রতিপক্ষ একটি প্রভাবশালীচক্র। মাদরাসার বর্তমান ম্যানেজিং কমিটি বিলুপ্ত করে নতুন কমিটি করে নিয়োগ বাণিজ্যের কর্তৃত্ব হাতিয়ে নিতে চক্রটি মরিয়া হয়ে উঠেছে। ম্যানেজিং কমিটির সদস্যদের হুমকি ও ভয় দেখিয়ে পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

জানা গেছে, আলমডাঙ্গার কেইউপি হামিদিয়া ছিদ্দিকিয়া বালিকা দাখিল মাদরাসায় ১ জন বিপিএড, ১ জন সহকারী মৌলভী ও ১ জন কম্পিউটার শিক্ষকসহ মোট ৩ জন শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হবে। সম্প্রতি এ সংক্রান্ত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। আর এটাই হয়েছে কাল। এ ৩ নিয়োগকে কেন্দ্র করে এলাকার একটি চক্র যারা ম্যানেজিং কমিটিতে জায়গা করে নিতে ব্যর্থ হয়েছিলেন, তারা নতুন করে চক্রান্ত শুরু করেছেন বলে অভিযোগ করেছেন বর্তমান ম্যানেজিং কমিটির একাধিক সদস্য।

মূলত বর্তমান ম্যানেজিং কমিটির সদস্যদের ভয় দেখিয়ে, হেনস্থা করে পদত্যাগ করিয়ে নতুন ম্যানেজিং কমিটি সৃষ্টি করে এ চক্রটি নিয়োগ বাণিজ্যের কর্তৃত্ব হাতিয়ে নিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তারা ইতোমধ্যে বেশ কয়েকজন ম্যানেজিং কমিটির সদস্যকে ভয় দেখিয়ে পদত্যাগপত্রে স্বাক্ষর করিয়েছে। এরা হলেন- অভিভাবক সদস্য মানোয়ার হোসেন, মুন্তাজ আলী ও বিদ্যোৎসাহী সদস্য সোহরাব হোসেন। রাহিমা খাতুন নামের আরেক মহিলা সদস্যকে ভয় দেখিয়েও পদত্যাগ করাতে পারেনি। এছাড়া ম্যানেজিং কমিটির অন্য অভিভাবক সদস্য ও শিক্ষক প্রতিনিধিদেরও পদত্যাগের জন্য হেনস্থার শিকার হতে হচ্ছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে অভিভাবক সদস্য কাটাভাঙ্গা গ্রামের এখলাস আলী জানিয়েছেন, গত বুধবার সকালের দিকে তার বাড়িতে ১০/১২ জনের একটি গ্রুপ উপস্থিত হন। সে সময় তিনি বাড়িতে ছিলেন না। এখলাস ম্যানেজিং কমিটি থেকে পদত্যাগ না করলে তার হাতে বোমা ধরিয়ে দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেয়া হবে বলে তার স্ত্রীকে শাসিয়ে গিয়েছে ১০/১২ জনের চক্রটি। এখলাস আলী পদত্যাগ করবেন কি-না জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, পদত্যাগের প্রশ্নই আসে না। উদয়পুরের আকতার কি একাই আওয়ামী লীগ করে? আমরা করিনে? এই বলে তিনি পাল্টা প্রশ্ন ছুঁড়েছেন।

কেইউপি মাদরাসার বর্তমান ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি কাটাভাঙ্গা গ্রামের বিশিষ্ট আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল হালিম লস্কর ডালিম। এ কমিটির বয়স মাত্র ৬/৭ মাস বলে জানিয়েছেন এক শিক্ষক প্রতিনিধি। ২০১৭ সালের শেষ দিকে এ কমিটির মেয়াদ শেষ হবে। অথচ কমিটির মাত্র ৬ মাস যেতে না যেতেই তা ভেঙে দিয়ে নতুন কমিটি করার চক্রান্ত শুরু করা হয়েছে। আর এ চক্রান্তের নেতৃত্ব দিচ্ছেন বর্তমান সভাপতির রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী উদয়পুর গ্রামের আকতার ও মজিবুল হক বলে অভিযোগ উঠেছে। এদিকে ম্যানেজিং কমিটি ভাঙাগড়াসহ নানা চাপের মুখে মাদরাসার পড়ালেখার দারুণ বিঘ্ন ঘটছে। মানসিক চাপ থাকায় শিক্ষকরা ভালোভাবে পাঠদান করতে পারছেন না বলে জানিয়েছেন ভারপ্রাপ্ত সুপার আব্দুল হালিম।

Leave a comment