অশ্লীলতা ও অপসংস্কৃতি রুখতে বাড়তি নজরদারি

চুয়াডাঙ্গার গড়াইটুপি মেলার ঐতিহ্য রক্ষায় সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের উদ্যোগ

 

বেগমপুর প্রতিনিধি: চুয়াডাঙ্গা জেলার মানুষের শত বছরের ঐতিহ্যের ধারবাহক গড়াইটুপি মেলার মান যেন ক্ষুণ্ণ না হয় এলাকাবাসী মেলার শুরু থেকে এ দাবি করে আসছিলো। সে দাবি রক্ষা করতে গড়াইটুপি মেলার প্রতি চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সার্বক্ষণিক নজরদারি রাখা হয়েছে। সকল প্রকার অশ্লীলতা ও অপসংস্কৃতি বন্ধে উপজেলা নির্বাহী অফিসার পদক্ষেপ নিয়েছেন। ফলে পরিবার-পরিজনকে নিয়ে মেলা দেখার পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। অপরদিকে অভিযোগ পেলেই তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণেরও এমন সতর্ক বার্তা দেয়া হয়েছে মেলা আয়োজক কর্তৃপক্ষকে।

চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার তিতুদহ ইউনিয়নের গড়াইটুপির অম্রাবতির এ মেলা কবে, কখন, কীভাবে শুরু হয়েছে তা নিয়ে সুনির্দিষ্ট দিনক্ষণ কারো জানা না থাকলেও বাংলা মাসের ৭ আষাঢ় বসে এ মেলা। তবে এবার তার ধারাবাহিকতার ছন্দপতন ঘটেছে পবিত্র রমজান মাসের কারণে। ঈদের পরের দিনই জাঁকজমকভাবে পথচলা শুরু এ মেলার। প্রতিবারের ন্যায় মেলাতে এবারও আছে জীবজন্তুতে ভরা সার্কাস, গ্রামবাংলার যাত্রাপালা, কাঠ, বাঁশ, বেতের তৈরি আসবাবপত্রের দোকান, মিষ্টির দোকান, শিশুদের জন্য বিভিন্ন খেলনাপাতির দোকানসহ আকর্ষণীয় সব আয়োজন।

মাজারের ১৬ শতক জমি ইজারা দিয়ে সরকার প্রতি বছর লাখ লাখ টাকা রাজস্ব পেয়ে থাকে। তাই ইজারাদাররা বিনিয়োগকৃত অর্থ ফিরে পেতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিলেও এ বছর দেখা গেছে মেলার মাঠের ভিন্নরূপ। মেলার ইজারাদার শুকুর আলী বলেন, ইতিহাস ও ঐতিহ্য ধরে রাখতে অর্থনৈতিক ব্যাপারটাকে গৌণ ভাবে দেখা হচ্ছে। কারণ এলাকাবাসীর মতামতকে উপেক্ষা করা আমার উদ্দেশ্য না। আমি সকলের মতামতকে সম্মান এবং শ্রদ্ধা করি। তাই কারো কোনো প্রকার অভিযোগ থাকলে তা গুরুত্বসহকারে নেয়া হচ্ছে। এদিকে মেলার শুরুতে মেলা নিয়ে মেলা কথা সৃষ্টি হলেও তার ব্যতিক্রম ঘটেছে এবার।

চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার কেএম মামুন উজ্জামান বলেন, মেলার নামে কোনো প্রকার অশ্লীলতা বা নগ্নতা বরদাস্ত করা হবে না। অতীতের কথা ভেবে ঐতিহ্যবাহী এ মেলার প্রতি বাড়তি নজরদারি দেয়া হয়েছে। এদিকে উপজেলা প্রশাসনের এ ধরনের উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছে এলাকাবাসী।

Leave a comment