কার্পাসডাঙ্গা প্রতিনিধি: এক সময়ে মানুষের যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম ছিলো পত্র লেনদেন। আর তা করা হতো পোস্টঅফিসের মাধ্যমে। এ কথা ভেবেই সরকারিভাবে দেশের প্রতিটি জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়নে খোলা হয় ১টি করে শাখা পোস্টঅফিস।
বর্তমান ডিজিটাল যুগে ইন্টারনেট ও মোবাইলের কারণে চিঠি লেনদেন একেবারে নেই বললেই চলে। বিশেষ করে কেন্দ্রীয় পোস্টঅফিসে কিছু লেনদেন থাকলেও ইউনিয়ন পর্যায়ে পোস্টঅফিসের কোনো কার্যক্রম নেই। কোনো রকম খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে শাখা পোস্টঅফিসগুলো। সরকারি পরিচালনার জন্য তেমন কোনো লোকবল না থাকলেও নামওয়াস্তে একজন পোস্টমাস্টার আছেন।
চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদার কুড়ুলগাছি ইউনিয়নের পোস্টঅফিসটির অবস্থা একেবারেই নড়বড়ে হয়ে পড়েছে। ১৯০১ সালে প্রতিষ্ঠিত ভবনটি জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে। যেকোনো সময় ভবনটি ধসে পড়ে ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। এলাকাবাসীরা অভিযোগ করে বলেছে, ভবনটি ভেঙে পড়ায় প্রতিদিন চুরি হচ্ছে ইট, রড, জানালা ও দরজার কাঠসহ বিভিন্ন মালামাল। বৃষ্টিতে ভিজে নষ্ট হচ্ছে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র। পোস্টঅফিসের বর্তমান পোস্ট মাস্টার তৈমুর রহমান বলেন, চিঠিপত্র তেমন না এলেও সরকারি কার্যক্রম চালানোর জন্য নিয়মিত অফিস খুলতে হয়। ২০০৮ সালে যোগদান করে ১২শ টাকা বেতন ভাতা নিয়ে এই দায়িত্ব পালন করছি। দীর্ঘদিন ধরে ভবনের বেহাল দশায় পরিণত হলেও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কার্যক্রম চালাচ্ছি। এলাকার সচেতন মহলের দাবি দ্রুত পোস্টঅফিসটি সংস্কার করে সরকারি সম্পদ রক্ষায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের এগিয়ে আসার খুব জরুরি।