চুয়াডাঙ্গার বাগানপাড়ায় বাড়ির পাশে ফুটবল খেলায় ক্ষোভ?
স্টাফ রিপোর্টার: সাত বছরের শিশু তন্ময়কে টানা সাড়ে তিন ঘণ্টা পড়শী বেঁধে নির্যাতন করেছে। এ মর্মে থানায় নালিশ করা হয়েছে। গতকাল বুধবার বিকেলে চুয়াডাঙ্গা জেলা শহরের বাগানপাড়ায় ফুটবল বাড়ির মধ্যে যাওয়ার কারণে শিশু তন্ময়কে ধরে বাড়িতে গামছা দিয়ে বেধে সাড়ে ৩ ঘণ্টা আটকে রাখা হয় বলে অভিযোগ করেছেন তার মা তহমিনা আক্তার। অবশ্য অভিযুক্ত শুভ ও তার মা কহিনুর বেগম এ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, বৃষ্টিতে ভিজে যাওয়ার কারণে গামছা দিয়ে ওর গা মুছে দেয়া হয়। বেঁধে রাখার অভিযোগ সঠিক নয়।
জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা জেলা শহরের বাগানপাড়ার অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য সিরাজুল ইসলামের বাড়ির পাশের ফাঁকা স্থানে গতকাল বুধবার বিকেলে একদল শিশু কিশোর ফুটবল খেলায় মেতে ওঠে। খেলার সময় ফুটবল সিরাজুল ইসলামের বাড়িতে গিয়ে পড়ে। কিশোর শিহাব ও শান্ত ফুটবল নিয়ে সরে পড়লেও রাজন আলীর শিশুপুত্র আব্দুর রহমান তন্ময়কে সিরাজুল ইসলামের বাড়িতে নিয়ে আটকে রাখা হয়। স্থানীয়রা এ অভিযোগ করলে শিশু তন্ময়কে তার মা তহমিনা আক্তারসহ প্রতিবেশীদের কয়েকজন কয়েক দফা উদ্ধার করতে ছুটে যান। উত্তেজনা দানা বাধে। এক পর্যায়ে পুলিশকে জানানো হয়। অবশ্য পুলিশ পৌঁছুনোর পূর্বেই গতরাত ৮টার দিকে শিশু তন্ময়কে তার মা কাছে পান। শিশুকে নিয়ে সদর থানায় হাজির হয়ে নালিশ করেন তিনি। সিরাজুল ইসলামের স্ত্রী কহিনুর বেগম ও ছেলে শুভর বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে বলা হয়, এরা শিশু তন্ময়কে বাড়ির ভেতরে গামছা দিয়ে বেঁধে দীর্ঘ সাড়ে ৩ ঘণ্টা আটকে রাখে। নির্যাতন করে। অবশ্য এ অভিযোগ অস্বীকার করে কহিনুর বেগম কুটি বলেছেন, শিশু নির্যাতনের প্রশ্নই ওঠে না। শিশু তন্ময় বৃষ্টিতে ভিজে গেলে তাকে গামছা দিয়ে মুছে বসিয়ে রাখা হয়।
সদর থানার অফিসার ইনচার্জ বলেছেন, অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রকৃত ঘটনা জানার পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। গতরাতে শিশু নির্যাতনের অভিযোগে অভিযুক্ত পক্ষ পাল্টা অভিযোগের প্রক্রিয়া করে বলে জানা গেছে।