গাংনী প্রতিনিধি: ভাঙানোর প্রতিশ্রুতি দিয়ে সৌদি প্রবাসীর কাছ থেকে ২৬ হাজার রিয়াল (প্রায় সাড়ে ৫ লাখ) হাতিয়ে নিয়ে উধাও হয়েছে মুকুল হোসেন নামের এক ব্যাংক কর্মচারী। বেশ কিছুদিন ধরে মুকুলের সন্ধান না পাওয়ায় চরম বিপাকে পড়েছেন ভুক্তভোগী জাহাঙ্গীর আলম।
অভিযোগে জানা গেছে, গাংনী উপজেলার কাজিপুর গ্রামের লুৎফর রহমানের ছেলে জাহাঙ্গীর আলম মাস দেড়েক আগে সৌদি আরব থেকে ছুটিতে বাড়িতে আসেন। সাথে আনা সৌদি রিয়াল ভাঙিয়ে সংসারের কাজ করার সিন্ধান্ত নেন। এক পর্যায়ে তার প্রতিবেশী কাবের উদ্দীনের ছেলে মুকুলের দ্বারস্থ হন। জনতা ব্যাংক বামন্দী শাখায় কর্মচারী হিসেবে (মাস্টারোলে) কাজ করার সুবাদে রিয়াল ভাঙিয়ে দেন মুকুল হোসেন। তার কাছে আরো রিয়াল আছে জানতে পেরে তা ভাঙিয়ে দিতে বিভিন্ন প্রলোভন দেন মুকুল। এলাকার হজ গমনেচ্ছুক ব্যক্তিরা ভালো দামে রিয়াল কিনবেন বলেও জাহাঙ্গীরকে টোপ দেয়। পরবর্তীতে আরো রিয়াল ভাঙানোর প্রয়োজন হলে মুকুলের সাথে যোগাযোগ করেন জাহাঙ্গীর। গত ২৪ জুলাই রিয়াল নিয়ে জনতা ব্যাংক বামন্দী শাখা কার্যালয়ে যান জাহাঙ্গীর। দরদাম নির্ধারণ করে মুকুলের হাতে ২৬ হাজার রিয়াল তুলে দেয়া হয়। এর কিছু সময়ের মধ্যে বিভিন্ন ছল চাতুরির আশ্রয় নিয়ে ব্যাংকের দোতলা অফিসকক্ষ থেকে নিচে নেমে গাঢাকা দেয় অভিযুক্ত প্রতারক মুকুল হোসেন। ওই সময় থেকে মোবাইলফোন বন্ধ করে আত্মগোপনে রয়েছে মুকুল।
ভুক্তভোগী জাহাঙ্গীর আলম জানান, সারাদিন ব্যাংকে বসে থেকে মুকুলের হদিস না পেয়ে চরম বিপাকে পড়েন তিনি। শেষ পর্যন্ত ব্যাংক ম্যানেজারকে মৌখিকভাবে অবহিত করে তিনি বাড়ি ফিরে আসেন। মুকুলের পরিবার ও স্বজনদের জানানো হলেও তারা ভ্রুক্ষেপ করছেন না। তাইতো প্রবাসে হাড়ভাঙ্গা পরিশ্রম করে উপার্জিত অর্থ এভাবে হাতিয়ে নেয়ায় অসহায় হয়ে পড়েছেন জাহাঙ্গীর। এর আগে ব্যাংক থেকে ৫ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে কর্তৃপক্ষের কাছে ধরা পড়েছিলেন মুকুল। বিষয়টি মীমাংসা করে আবারো মুকুলকেই কাজে নেন ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। মুকুলকে কেউ ধরিয়ে দিতে পারলে তাকে পুরস্কৃত করা হবে বলেও জানান জাহাঙ্গীর। তবে এ বিষযে জানতে চেয়ে জনতা ব্যাংক বামন্দী শাখা ব্যবস্থাপকের মোবাইল নম্বরে কয়েকবার ফোন দেয়া হলেও তা বন্ধ পাওয়া গেছে।