চুয়াডাঙ্গা সাতগাড়ি জাফরপুর ও ডিঙ্গেদহে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান
স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা জেলা শহরে নতুন নতুন ফার্মেসি গজিয়ে উঠলেও অধিকাংশই লাইসেন্স বিহীন। অধিকাংশ ফার্মেসিতে নকল ওষুধ, মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ, নকল স্যালাইন, সরকারি ওষুধ, ফিজিশিয়ান স্যাম্পুল, মুদি পণ্যসহ বিভিন্ন অপরাধ পরিলক্ষিত হয়। এ কারণে সাতগাড়ি সীমান্ত মেডিকেল সেন্টারের মালিক শ্যালটনকে ২ হাজার, জাফরপুর মোড়ের রিম্পা ফার্মেসির মালিক মিজানুর রহমানকে ১ হাজার, তমা হেলথ হোমের মালিক আবুল কাশেমকে ১ হাজার ও ডিঙ্গেদহ বাজারের মোমেনা ফার্মেসির মালিক মনিরুল ইসলামকে ১ হাজার টাকা জরিমানা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। গতকাল সকাল সাড়ে ১১টার দিকে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার কেএম মামুন উজ্জামান পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালত উপরোক্ত অর্থদণ্ডাদেশ দেন।
আদালতসূত্রে জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গার অধিকাংশ ফার্মেসি লাইসেন্সবিহীন। তাছাড়া ফার্মেসিতে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ, নকল স্যালাইন, সরকারি ওষুধ, ফিজিশিয়ান স্যাম্পুল ও মুদিপণ্য দেখা যায়। এজন্য সাতগাড়ি সীমান্ত মেডিকেল সেন্টারের মালিক শ্যালটনকে অনুমোদনবিহীন ওষুধ রাখা ও ড্রাগ লাইসেন্স না থাকায় ড্রাগ নিয়ন্ত্রণ আইন ১৯৪০’র ১৮(ক) ও ১৮(গ) ধারায় ২ হাজার, জাফরপুর মোড়ের রিম্পা ফার্মেসির মালিক মিজানুর রহমানকে হোমিও ফার্মেসিতে এলোপেথিক ওষুধ রাখা ও লাইসেন্স না থাকায় ড্রাগ নিয়ন্ত্রণ আইন ১৯৪০’র ১৮(ক) ও ১৮(গ) ধারায় ১ হাজার, তমা হেলথ হোমের মালিক আবুল কাশেমকে অবৈধভাবে স্যালাইন রাখার দায়ে ড্রাগ নিয়ন্ত্রণ আইন ১৯৪০’র ১৮(ক) ধারায় ১ হাজার ও ডিঙ্গেদহ বাজারের মোমেনা ফার্মেসির মালিক মনিরুল ইসলামকে ভারতীয় ওষুধ রাখার দায়ে ড্রাগ নিয়ন্ত্রণ আইন ১৯৪০’র ১৮(ক) ধারায় ১ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।