ভোটার তালিকায় দু বার নাম থাকলেই শাস্তি

নরসিংদীতে হালনাগাদ কার্যক্রম উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সিইসি কাজী রকিব

 

স্টাফ রিপোর্টার: কোনো ব্যক্তিকে একাধিকবার ভোটার না হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ। ভোটার তালিকায় দুবার নাম থাকলে কিংবা কেউ একাধিকবার ভোটার হওয়ার চেষ্টা করলে তাকে শাস্তি পেতে হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

গতকাল শনিবার দুপুরে নরসিংদী জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। একাধিকবার ভোটার হওয়া কিংবা ইচ্ছা পোষণ করলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে উল্লেখ করে সিইসি আরো বলেন, কোনোমতেই ভুয়া ভোটার নিবন্ধন সম্ভব নয়, কারণ আমরা কয়েক ধাপে যাচাই বাছাই করে নিবন্ধন করে থাকি। যদি কেউ সে অপরাধে জড়িত থাকে তার বিরুদ্ধে অবশ্যই আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ বলেন, ভোটার নিবন্ধনের ক্ষেত্রে সঠিক তথ্য দেয়া ও নেয়া দুটাই গুরুত্বপূর্ণ। তাই কমিশন যেভাবে যাচাই করে, ভোটারদেরও উচিত সঠিক তথ্য দিয়ে কমিশনকে সহায়তা করা। আমরা ভোটার তালিকার মান আরো উন্নতির দিকে নিয়ে যেতে চাই। সরকারের এ উন্নয়নের প্রচেষ্টা সফলকরণের লক্ষ্যে ভোটার তালিকা এবং জাতীয় পরিচয়পত্র অনেকটা সহায়ক হবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। মহিলা ভোটারদের নিবন্ধনে উদ্বুদ্ধকরণের জন্য কমিটি গঠন করা হয়েছে জানিয়ে সিইসি বলেন, পৃথিবীর অনেক উন্নত দেশও আমাদের মতো স্বচ্ছ ভোটার তালিকা তৈরি করতে পারেনি। প্রতিটি উপজেলায় সার্ভার স্টেশন স্থাপন করা হয়েছে, যা চালু হলে আরো দ্রুত সেবা প্রদান করা সম্ভব হবে।

চুয়াডাঙ্গায় ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। গতকাল শনিবার বেলা সাড়ে ১০টায় পৌর এলাকার ১ নং ওয়ার্ডের মালোপাড়ায় নতুন ভোটারদের নাম তালিকাভুক্তির মধ্যদিয়ে আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হয়। সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. ওলিউল্লাহ ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রমের উদ্ধোধন করেন। হালনাগাদ কার্যক্রমে প্রথম ভোটার হয়েছেন বাংলাদেশ স্কিলড ডেভেলপমেন্ট ইনস্টিটিউট কম্পিউটার বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্র মাশরুর আলম আকাশ। এ সময় তথ্য সংগ্রহকারী সহকারী শিক্ষক ফুরকান আলী উপস্থিত ছিলেন। জেলার ৪ উপজেলার মধ্যে চুয়াডাঙ্গা সদর ও আলমডাঙ্গায় ২৫ জুলাই থেকে ৯ আগস্ট এবং দামুড়হাদা ও জীবননগরে ১৬ আগস্ট থেকে ৩০ আগস্ট পর্যন্ত তথ্য সংগ্রহের কাজ চলবে। ২০০০ সালের ১ জানুয়ারি বা তার আগে জন্মগ্রহণকারীদের তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। পর্যায়ক্রমে তা নিবন্ধন করা হবে। জেলায় মোট ভোটার রয়েছে ৭ লাখ ৯৩ হাজার ৫৪৪ জন। জেলা নির্বাচন কমিশন প্রায় ৬০ হাজার জনের তথ্য সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছেন।

Leave a comment