শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করার অভিযোগের নেপথ্য উন্মোচন

 

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গার ডিঙ্গেদহ শহীদ সোহরাওয়ার্দী স্মরণী বিদ্যাপীঠের ৮ম শ্রেণির ছাত্রীকে বিদ্যালয়ের শিক্ষক উত্ত্যক্ত করেননি, চুয়াডাঙ্গা বেলগাছির যুবক শরিফুল ইসলাম মোবাইলফোনে উত্ত্যক্ত করেছে। উত্ত্যক্তের শিকার ছাত্রী ওই শরিফুলকেই বিদ্যালয়ের শিক্ষক জামাল উদ্দীন ভেবে অভিযোগ উত্থাপন করে। শরিফুল তার প্রকৃত পরিচয় গোপন করে শিক্ষক জামাল উদ্দীন সেজেই কথা বলে।

অভিযোগ উত্থাপনের পর বিদ্যাপীঠের সহকারী শিক্ষক জামাল উদ্দীন দিশেহারা হয়ে পড়েন। তিনি কোনো দোষ না করেও কেন অভিযুক্ত হলেন তা খতিয়ে দেখতে নানামুখি পদক্ষেপ নেন। অপরদিকে অভিযোগের প্রেক্ষিতে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নির্দেশে সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার তদন্ত শেষে প্রতিবেদন পেশ করেন। প্রতিবেদনে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়নি বলে জানানো হয়। তা হলে ছাত্রীকে কে মোবাইলফোনে উত্ত্যক্ত করে? এ প্রশ্নের জবাব খুঁজতে মূলত অভিযুক্ত শিক্ষকই অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে শুরু করেন। ইতোমধ্যে ওই মোবাইলফোন নম্বর দিয়ে সদর থানায় জিডিও করা হয়। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, যে মোবাইলফোনে শিক্ষক জামাল উদ্দীন পরিচয়ে ছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করেছে সেটা বেলগাছির শরিফুল ইসলাম নামের এক যুবকের। গতপরশু রাতে সদর থানার এসআই ফেরদৌস ওয়াহিদ সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে শরিফুলকে ধরতে তার বাড়িতে অভিযান চালান। না পেয়ে তার পিতার নিকট বিষয়টি জানিয়ে আসেন ওই পুলিশ অফিসার। গতকাল শরিফুল সদর থানায় এসে জানায়, সে নিজের পরিচয়েই কথা বলতে চেয়েছিলো; কিন্তু ওই নম্বরে ফোন করলে কিশোরী জানতে চায়, জামাল স্যার বলছেন? তখন আমি ‘হ্যা’ বলে জানানোর পর শুরু হয় কথা। বেশ কিছুদিন ধরে কথা হয়েছে। উত্ত্যক্ত করা হয়নি।

পুলিশ উভয়পক্ষকে থানায় ডেকে ত্রিমুখি মন্তব্য শুনে বুঝতে পারে যে, ঘটনার আড়ালে রয়েছে ভুল বোঝাবুঝি। ফলে বিষয়টি নিষ্পত্তি করা হয়েছে। শরিফুল ফিরেছে বাড়ি। শিক্ষক জামাল উদ্দীনও স্বস্তির শ্বাস ছেড়েছেন। তিনি বলেছেন, অভিযোগের খবর পত্রিকায় পড়ে হতবাক হয়েছি। শেষ পর্যন্ত অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণিত হওয়ায় ভালো লাগছে ঠিকই, কিন্তু এ ক’দিন যে কীভাবে কেটেছে তা আমিই জানি। আমার মতো আর কেউ যেন অকারণে হয়রানির শিকার না হন, সেটাই কামনা করি।

Leave a comment