পটুয়াখালীর ফোরকান মল্লিকের ফাঁসির আদেশ

স্টাফ রিপোর্টার: একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধে পটুয়াখালীর ফোরকান মল্লিকের বিরুদ্ধে ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২। তার বিরুদ্ধে করা ৫টি অভিযোগের মধ্যে ৩টি অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় এ আদেশ দেন বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন ট্রাইব্যুনাল-২। এর মধ্যে ২টি অভিযোগে মৃত্যুদণ্ড ও একটি অভিযোগে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেয়া হয়। এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে তাকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। ২০১০ সালের ২৫ মার্চ ট্রাইব্যুনাল গঠনের মধ্যদিয়ে যুদ্ধাপরাধের বিচার শুরুর পর এটি বিশতম রায়। স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় পটুয়াখালীর ফোরকান মল্লিক মুসলিম লীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন। ওই সময় তার বিরুদ্ধে আটজনকে হত্যা, গণহত্যা, ৪ জনকে ধর্ষণ, ৩ জনকে ধর্মান্তরে বাধ্য করা, ১৩টি পরিবারকে দেশান্তরে বাধ্য করা, ৬৪টি বসতবাড়ি ও দোকানে লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ- এ পাঁচটি অভিযোগ আমলে নেন ট্রাইব্যুনাল-২। গত বছরের ১৮ ডিসেম্বর অভিযোগ গঠনের মধ্যদিয়ে ফোরকান মল্লিকের বিচার শুরু হয়। ২০০৯ সালে ২১ জুলাই পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ থানায় আবদুল হামিদ নামের এক ব্যক্তি ফোরকানের বিরুদ্ধে মামলা করেন। এরপর ২০১৪ সালের ২৫ জুন ফোরকানকে বরিশালের রূপাতলী বাসস্ট্যান্ড থেকে গ্রেফতার করে পটুয়াখালীর গোয়েন্দা পুলিশ। ৩ জুলাই ট্রাইব্যুনাল মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার গ্রেফতার দেখিয়ে ফোরকান মল্লিককে কারাগারে পাঠান। তার বিরুদ্ধে মামলার তদন্ত করেন প্রসিকিউশনের তদন্ত কর্মকর্তা সত্যরঞ্জন রায়। ২ ডিসেম্বর ফোরকান মল্লিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নেন ট্রাইব্যুনাল-২।

Leave a comment