নওয়াপাড়ায় ত্রুটি : চুয়াডাঙ্গা-মেহেরপুরে বিদ্যুত বিপর্যয়

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা-মেহেরপুরে ভয়াবহ বিদ্যুত বিপর্যয়ে গ্রাহক সাধারণ ক্ষোভে ফুঁসতে শুরু করেছে। গতকাল শনিবার সন্ধ্যা থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত চুয়াডাঙ্গা বড়বাজার ও কলেজ ফিডারে দফায় দফায় বিদুতের আসা-যাওয়া ছিলো, কিন্তু বিজিবি, হাজরাহাটি ও হাসপাতাল ফিডারে দীর্ঘ সময় বিদ্যুত সরবরাহ বন্ধ থাকায় ক্ষোভের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।

চুয়াডাঙ্গা-মেহেরপুরে বিদ্যুত বিপর্যয় কেন? এ প্রশ্নের জবাব জানতে গেলে ওজোপাডিকোর চুয়াডাঙ্গা বিতরণ কেন্দ্রে কর্তব্যরতরা জানান, চাহিদা মতো বিদ্যুত পাওয়া যাচ্ছে না বলেই এ পরিস্থিতি। এ দশা শুধু চুয়াডাঙ্গা-মেহেরপুরে নয়, ঝিনাইদহ-মাগুরা ও যশোরেও। কেন? জাতীয় গ্রিড থেকে এ অঞ্চলে বিদ্যুত সরবরাহের সাব গ্রিড নওয়াপাড়ায়। ওই গ্রিড স্টেশনের দুটির মধ্যে একটি লুপ কেটে যায়। সন্ধ্যা ৭টা ৫৮ মিনিটে লুপ কেটে গেলে চুয়াডাঙ্গা-মেহেরপুরসহ পার্শ্ববর্তী জেলায় বিদ্যুত সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়।

অপর লুপের মাধ্যমে বিদ্যুত সরবরাহ করতে গেলে দুর্ঘটনা ঘটে। নওয়াপাড়া সাব গ্রিডের দুজন লাইনম্যান আহত হন। তাদেরকে হাসপাতালে নেয়া হয়। অপরদিকে চলতে থাকে মেরামতের কাজ। একটি লুপ দিয়ে বিদ্যুত সবরাহের কারণে চাহিদা মতো বিদ্যুত সরবরাহ করা যাচ্ছে না। এ কারণে চুয়াডাঙ্গার দুটি ফিডারে পালাক্রমে লোডশেডিঙের মাধ্যমে বিদ্যুত সরবাহ করা হলেও বাকি ফিডারগুলোতে রাত ১টার দিকে দেয়ার চেষ্টা চলে। গতরাত ২টায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত বিদ্যুত পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়নি। কলেজ ফিডারসহ অন্য ফিডারগুলো অসহনীয় লোডশেডিঙের মধ্যেই রাখা ছিলো। মেহেরপুর-আলমডাঙ্গারও অভিন্ন পরিস্থিতি ছিলো। তবে রাতে ঝিনাইদহের সাথে যোগাযোগ করা হলে ঝিনাইদহের বেশ কয়েকজন বিদ্যুত গ্রাহক বলেছেন সন্ধ্যার পর বিদ্যুত বিপর্যয় দেখা দিলেও ঘণ্টা খানেকের মাথায় পরিস্থিতির উন্নতি ঘটে। তবে চুয়াডাঙ্গায় তেমনটি হয়নি।

ওজোপাডিকো চুয়াডাঙ্গা বিতরণ কেন্দ্রের সংশ্লিষ্টরা বলেছেন, চুয়াডাঙ্গা-মেহেরপুর ও আলমডাঙ্গায় বর্তমানে ১৮ মেগাওয়াট বিদ্যুত দরকার। গতরাতে বিদ্যুত পাওয়া গেছে মাত্র ৫ থেকে ৬ মেগাওয়াট। এ দিয়ে ফিডারগুলোতে কোনো রকম লোডশেডিঙের মাধ্যমে বিদ্যুত সরবরাহ চালু রাখা হয়। অপরদিকে চুয়াডাঙ্গার বিদ্যুত গ্রাহকদের অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছেন, পবিত্র রমজানে মাঝে মাঝেই তো ইফতার সেহরির সময় বিদ্যুত থাকছে না। এরপর বৃষ্টির পর ভ্যাপসা গরমে বিদ্যুত বিপর্যয় গ্রাহক সাধারণের মধ্যে ক্ষোভের মাত্রা বাড়িয়ে দিয়েছে।

Leave a comment