দামুড়হুদা প্রতিনিধি: দামুড়হুদায় বাড়ির রাস্তাকে কেন্দ্র করে গৃহবধূকে মেরে হাত ভেঙে দেয়ার ঘটনায় প্রতিবেশীর নামে থানায় দায়েরকৃত মামলা তুলে না নেয়ায় আসামিরা বাদীর পরিবারের ওপর পুনরায় হামলা চালিয়ে এলোপাতাড়ি মারধর করে আহত করেছে। সেইসাথে বাড়িঘর ভাঙচুরসহ লুটপাটেরও অভিযোগ উঠেছে। প্রতিপক্ষের হামলায় আহত গৃহবধূ আয়না (৩৬) দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন থাকলেও প্রতিপক্ষের ভয়ে গৃহবধূর পরিবারের লোকজন গরু-ছাগল নিয়ে গ্রাম ত্যাগ করে বিষ্ণুপুরে এক আত্মীয়ের বাড়িতে উঠেছে। আহত গৃহবধূ দামুড়হুদা সদর ইউনিয়নের গোবিন্দহুদা গ্রামের লুৎফর রহমানের স্ত্রী। গত বৃহস্পতিবার রাত ১টার দিকে ওই হামলার ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার দামুড়হুদা সদর ইউনিয়নের গোবিন্দহুদা গ্রামের মৃত শাহার আলীর ছেলে লুৎফর রহমানের সাথে বাড়ির রাস্তা ঘেরাকে কেন্দ্র প্রতিবেশী মৃত খোকাই মণ্ডলের ছেলে আমির চাঁদের দিন পনেরো আগে কথা কাটাকাটি হয়। কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে আমির চাঁদ ও তার ৪ ছেলে শাহিন, আনারুল, হযরত ও আমজাদ লাঠিসোঁটা নিয়ে প্রতিপক্ষ লুৎফর ও তার স্ত্রী দু সন্তানের জননী আয়না বেগমকে বেধড়ক মারধর করে। এতে লুৎফর মারাত্মকভাবে আহত হন এবং গৃহবধূ আয়নার ডান হাত ভেঙে যায়। স্থানীয়রা আয়নাকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে চিৎলা হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করে। এ ঘটনায় লুৎফর বাদী হয়ে আমির চাঁদ ও তার ৪ ছেলেকে আসামি করে দামুড়হুদা থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর থেকে মামলা তুলে নেয়ার জন্য আমির চাঁদ গং লুৎফরকে নানাভাবে হুমকি দিতে থাকে। এরই এক পর্যায়ে গত বৃহস্পতিবার রাত আনুমানিক ১টার দিকে আমির চাঁদ ও তার ৪ ছেলে লুৎফরের বাড়িতে ঢুকে লুৎফরকে গাছের সাথে বেঁধে মারধর শুরু করে। এ সময় লুৎফরের স্ত্রী আয়না বেগম স্বামীকে রক্ষা করতে এগিয়ে এলে তাকেও এলোপাতাড়ি মারধর করে আহত করে এবং বাড়িঘর ভাঙচুর করে লুটপাট করে বলে জানান ক্ষতিগ্রস্ত লুৎফর রহমান। তিনি আরো বলেন, এ ঘটনার পর আমি দামুড়হুদা থানায় পুনরায় একটি মামলা করেছি। কিন্তু প্রতিপক্ষ আমির চাঁদ প্রভাবশালী হওয়ায় পুলিশ তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। আমি প্রাণভয়ে বাড়িঘর ছেড়ে গরু-বাছুর নিয়ে বর্তমানে পার্শবর্তী বিষ্ণুপুর গ্রামে এক আত্মীয়ের বাড়িতে উঠেছি। তিনি দামুড়হুদা মডেল থানার ওসির সদয় দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।