স্টাফ রিপোর্টার: দফতর হারানো নিয়ে কোনো কথা বলেননি আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও দফতরবিহীন মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। গতকাল বৃহস্পতিবার আওয়ামী যুবলীগ আয়োজিত ইফতার ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির ১৪ মিনিটের বক্তৃতায় এবং অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকরাও এ ব্যাপারে জানতে চাইলেও সৈয়দ আশরাফ কিছু বলেননি। ঢাকার বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
যুবলীগের ইফতার মাহফিলের ঘণ্টা দুয়েক আগে সৈয়দ আশরাফকে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় থেকে সরিয়ে দেয়া হয়। এ নিয়ে আয়োজক যুবলীগের নেতাদের মধ্যে কানাঘুষা ছিলো তিনি অনুষ্ঠানে যোগ দেন কি-না। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত সময়েই সৈয়দ আশরাফ অনুষ্ঠানে আসেন। তিনি এসেই যুবলীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে কিছুক্ষণ বসেন। এরপর অনুষ্ঠান শেষে আবারও যুবলীগ কার্যালয়ে গিয়ে নেতাদের সাথে আলোচনা করেন তিনি। বক্তৃতা শেষে বেরিয়ে যাওয়ার সময় সাংবাদিকেরা তার সাথে কথা বলতে চাইলে তিনি কোনো কথা বলতে সম্মত হননি। তবে অনুষ্ঠানে ১৪ মিনিটের বক্তৃতায় তিনি কোথাও তার মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত একটি শব্দও বলেননি।
বক্তব্যে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে পরবর্তী নির্বাচনে অংশ নিয়ে দেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার ধারাবাহিকতা বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছেন সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। তিনি বলেন, নির্বাচন ছাড়া গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ব্যাহত হয়। আর গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ব্যাহত হলে সুষ্ঠু রাজনৈতিক পরিবেশ থাকবে না। অশুভ শক্তি আসতে পারে।
সৈয়দ আশরাফ বলেন, খালেদা জিয়া নির্বাচনে এসে ক্ষমতায় যাওয়ার গ্যারান্টি চান। নির্বাচনে আওয়ামী লীগ জিততেও পারে, হারতেও পারে। আবার বিএনপিও জিততে পারে, হারতে পারে। এটা নির্ভর করে জনগণের ওপর। তিনি বলেন, ‘আইয়ুব খানের সামরিক শাসনামলে জনগণের ভোটাধিকার ছিলো না। বুনিয়াদি গণতন্ত্র ছিলো। বঙ্গবন্ধু বলতেন, আমরা জানি সামরিক শাসনের অধীনে নির্বাচনে জিততে পারবো না। তারপরও তিনি বললেন, নির্বাচনে অংশ নিতে হবে। নির্বাচন কেবল জয়লাভ পরাজয়ের কনসেপ্ট নয়। নির্বাচনের সময় ভোটারের ঘরে ঘরে গিয়ে বলতে হবে, আপনার ভোটাধিকার নেই। ভোটের মালিক চেয়ারম্যান-মেম্বার।’ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, পাকিস্তান আমলে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে আওয়ামী লীগে অংশগ্রহণ করেছিলো। বঙ্গবন্ধুর একই কথা ছিলো, নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার মূল ভিশন জনগণের দ্বারে দ্বারে যাওয়া। এরশাদ ও জিয়ার স্বৈরশাসনের সময়ও আওয়ামী লীগ নির্বাচন বয়কট করেনি। আওয়ামী লীগ সব সময় নির্বাচনে গিয়েছে।
সৈয়দ আশরাফ খালেদা জিয়ার উদ্দেশ্যে বলেন, নির্বাচনে আসলেন না। দেশে সংঘাত করলেন, বাস পোড়ালেন, ট্রেন পোড়ালেন, মানুষ মারলেন। নির্বাচন বর্জন করে আপনারা এখন ভাসমান হয়েছেন। আগামী নির্বাচনও সংবিধানের আলোকে হবে। সেই নির্বাচনে অংশ নিন।