স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গায় পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে অতিদরিদ্র পরিবারকে ১০ কেজি করে চাল বিতরণের কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদফতরের অধীনে চার উপজেলায় ৫৩ হাজার ৮০৮টি পরিবারের মাঝে এক কোটি ৭১ লাখ ৮৪ হাজার টাকার ৫৩৭ দশমিক শূন্য ৮০ মেট্রিক টন চাল দেয়া হচ্ছে।
জানা গেছে, ২০১৪-২০১৫ অর্থবছরে চুয়াডাঙ্গা জেলার চার উপজেলায় ৩৮৩ দশমিক শূন্য ০৪ মেট্রিক টন বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলায় দারিদ্র্যের হার শতকরা ১৬ ভাগ। এ উপজেলায় উপকারভোগী কার্ডধারীর সংখ্যা ৯ হাজার ১৮৪টি এবং চাল বরাদ্দের পরিমাণ ৯১ দশমিক ৮৪০ মেট্রিক টন। আলমডাঙ্গা উপজেলায় দারিদ্র্যের পরিমাণ সবচেয়ে কম শতকরা ১১ ভাগ। এ উপজেলায় উপকারভোগী কার্ডধারীর সংখ্যা ৬ হাজার ৮৫৪টি এবং চাল বরাদ্দের পরিমাণ ৬৮ দশমিক ৫৪০ মেট্রিক টন। দামুড়হুদা উপজেলায় দারিদ্র্যের হার সবচেয়ে বেশি শতকরা ৩৯ ভাগ। এ উপজেলায় উপকারভোগী কার্ডধারীর সংখ্যা ১৭ হাজার ৮৯৭টি এবং চাল বরাদ্দের পরিমাণ ১৭৮ দশমিক ৯৭০ মেট্রিক টন। জীবননগর উপজেলায় দারিদ্র্যের হার ১৪ ভাগ। এ উপজেলায় উপকারভোগী কার্ডধারীর সংখ্যা ৪ হাজার ৩৬৯টি এবং চাল বরাদ্দের পরিমাণ ৪৩ দশমিক ৬৯০ মেট্রিক টন।
চুয়াডাঙ্গা জেলার চার পৌরসভায় চাল বরাদ্দের পরিমাণ ১৫৪ দশমিক শূন্য ৪ মেট্রিক টন এবং উপকারভোগীর সংখ্যা ১৫ হাজার ৪০৪ জন। এর মধ্যে এ ক্যাটাগরির পৌরসভা চুয়াডাঙ্গা ও আলমডাঙ্গা পৌরসভা ৪ হাজার ৬২১ জন করে কার্ডধারী এবং চালের পরিমাণ ৪৬ দশমিক ২১০ মেট্রিক টন। বি ক্যাটাগরির পৌরসভা দর্শনা ও জীবননগর পৌরসভায় ৩ হাজার ৮১টি করে কার্ডধারী এবং ৩০ দশমিক ৮১০ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।