রেলবাজারে ব্যবসায়ীদের বাধার মুখে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট

চুয়াডাঙ্গার বড়বাজারের কাঁচাবাজার তদারকি শেষে ভ্রাম্যমা আদালত

 

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা শহরের রেলবাজারে ব্যবসায়ীদের বাঁধার মুখে ভ্রাম্যমাণ আদালতের কার্যক্রম গুটিয়ে নেয়া হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা ১২টার দিকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তরিকুল ইসলাম ও সাব্বির রহমান সানি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করতে গিয়ে প্রতিরোধের মুখে পড়েন।

DSC08823

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. আব্দুর রাজ্জাকের নেতৃত্বে দু জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, জেলা বিপণন কর্মকর্তা আব্দুর রহিম, পুলিশ ও ব্যবসায়ী নেতাদের সাথে নিয়ে বাজার তদারকিতে যান। বড়বাজার ও নিচের কাঁচাবাজার তদারকি শেষে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ছাড়া অন্যরা রেলবাজারে যান। সেখানে যাওয়ার পর বিভিন্ন দোকানে রমজানে অত্যাবশকীয় পণ্যের দর ও কৃষিপণ্যের মার্কেটিং লাইসেন্স যাচাই শুরু করেন। এক পর্যায়ে তারা আব্দুল জলিল নামে এক ব্যবসায়ীর মুদি দোকানে গেলে প্রয়োজনীয় ব্যবসায়িক কাগজপত্র দেখাতে ব্যর্থ হন। জরিমানার জন্য প্রস্তুতি নেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। খবরটি দ্রুত ছড়িয়ে পড়লে বাজারের অন্য ব্যবসায়ীরা সংগঠিত হয়ে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। খবর পেয়ে শহর ফাঁড়ির টিএসআই আবুল খায়ের ও চুয়াডাঙ্গা সদর থানার এএসআই কৃষ্ণপদ সমর্দ্দার ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি সামাল দেন। পরবর্তীতে ভ্রাম্যমাণ আদালতে ওই ব্যবসায়ীকে ৩শ টাকা জরিমানা করা হয়। অবস্থা বেগতিক দেখে ভ্রাম্যমাণ আদালতের কার্যক্রম স্থগিত করে ম্যাজিস্ট্রেটগণ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে ফিরে যান। এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে ম্যাজিস্ট্রেট সাব্বির রহমান সানি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। জেলা দোকান মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ইবরুল হাসান জোয়ার্দ্দার জানান, ঝালের ও হলুদের গুঁড়া ব্যবসায়ীদের বিএসটিআইয়ের লাইসেন্স দেখার কথা সেনেটারি ইন্সপেক্টরের। জেলা মার্কেটিং অফিসার এটা তদারকি করায় ব্যবসায়ীরা ক্ষুব্ধ হয়ে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। দোকানমালিক সমিতির ওই নেতা দাবি করেন, আগামীতে ভ্রাম্যমাণ আদালত চালানোর সময় সংশ্লিষ্ট বিষয়ের এক্সপার্টরা যেন থাকেন।

Leave a comment