ঈদকে সামনে রেখে দামুড়হুদার ঠাকুরপুর সীমান্তে বেপরোয়া ধুড়পাচার চক্ররা
ভ্রাম্যমাণ/কার্পাসডাঙ্গা প্রতিনিধি: ঈদকে সামনে রেখে দামুড়হুদার ঠাকুরপুর সীমান্তে ধুড় পাচারকারী চক্র বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। এ চক্রটি প্রতিদিন মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে বিজিবির সদস্যদের চোখ ফাঁকি দিয়ে অবৈধভাবে ভারতে পাচার করা হচ্ছে নারী-পুরুষকে। ফলে অবৈধ অনুপ্রবেশের অপরাধে হতে হচ্ছে বিএসএফ’র হাতে নির্যাতনের শিকার ও করতে হচ্ছে কারাভোগ। আবার অনেকেই বিএসএফ’র গুলিতে দিতে হয়েছে তরতাজা প্রাণ।
এলাকাবাসী অভিযোগ করে বলেছে, দামড়হুদার ঠাকুরপুর সীমান্ত দিয়ে এক শ্রেণির দালাল চক্র প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে অবৈধভাবে ধুড়পাচার করা হয়ে থাকে। এ সীমান্ত দিয়ে চিহ্নিত ধুড় পাচারকারী কথিত লাইনম্যান ছাবদার আলী ও আবু হোসেন এরা প্রতিদিন ধুড় পাচার করছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ভারত থেকে ফিরে আসা বেশ কয়েকজনের সাথে কথা হলে তারা বলেন, দেশের একটি দালালচক্র ভারতে মোটা অঙ্কের বেতনের চাকরি দেয়ার কথা বলে অবৈধভাবে ভারতে পাচার করার জন্য ধুড় পাচারকারীদের হাতে তুলে দেয় পাচারকারীরা। পাচারকারীদের হাতে হতে হয় নানাভাবে শারীরিক নির্যাতনের মত যৌন হয়রানির শিকার। প্রতি ধুড়ের কাছে পাচার বাবদ বিভিন্ন প্রশাসনের নাম ভাঙিয়ে ২-৩ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয় ধুড় পাচারকারীচক্র। প্রতিদিন এই চক্র রাজবাড়ি থেকে ছেড়ে আসা সাথী ও রেখা পরিবহন থেকে এসব পাচারকারীরা তাদেরকে নামিয়ে নেয় এবং রাখা হয় ধুড় পাচারকারীদের বাড়িতে পরে সুযোগ বুঝে ঠাকুরপুর সীমান্ত দিয়ে পাচার করে দেয়া হয়। অনেক যুবতী নারীকে বিক্রি করা হয়েছে ভারতের বিভিন্ন পতিতা পল্লিতে। আবার অনেক যুবতী ভারতের কারাগার ও বিভিন্ন সেফ হোমে মানবেতর জীবনযাপন করছে। ফলে একদিকে যেমন ক্ষুণ্ণ হচ্ছে দেশের মর্যাদা তেমনিভাবে চরম নির্যাতনের শিকার হচ্ছে বাংলাদেশি নিরীহ নারী-পুরুষকে। বিষয়টি খতিয়ে দেখে ধুড় পাচারকারীদের বিরুদ্ধে আইনের ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য চুয়াডাঙ্গা ৬ ব্যাটালিয়নের পরিচালক এসএম মনিরুজ্জামানের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছে সচেতনমহল।