বাজেটে কিছু পরিবর্তন আসছে : পরিবর্তনের প্রস্তাব আজ

 

স্টাফ রিপোর্টার: আগামী অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে কিছু পরিবর্তন আসছে। আয়কর, রপ্তানিতে উৎসকর হার হ্রাসসহ এসব পরিবর্তনের প্রস্তাব আজ জাতীয় সংসদে উপস্থাপন করবেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। করদাতাদের ন্যূনতম প্রস্তাবিত আয়কর ৪ হাজার টাকা থাকছে না। এছাড়া আমদানিকৃত চাল, গম, ভোজ্য তেল, চিনিসহ কয়েকটি ভোগ্য পণ্য থেকে প্রস্তাবিত ২ শতাংশ অগ্রিম আয়কর প্রত্যাহার করা হতে পারে। ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলের শিক্ষার্থীর অভিভাবকের বাধ্যতামূলক টিআইএন (কর শনাক্তকরণ নম্বর) গ্রহণের প্রস্তাব করা হলেও জেলা সদরের বাইরের স্কুলের অভিভাবকদের ক্ষেত্রে এটি বাতিল করা হচ্ছে। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল ও প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের বাড়তি ভ্যাটও (মূল্য সংযোজন কর) প্রত্যাহার হতে পারে।

গত ৪ জুন অর্থমন্ত্রী ২০১৫-১৬ অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাব জাতীয় সংসদে উপস্থাপন করেন। এরপর এ প্রস্তাবের ওপর সংসদে আলোচনা হয়। আগামীকাল ৩০ জুন সংসদে বাজেট প্রস্তাব পাস হওয়ার কথা রয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, এবারের প্রস্তাবিত বাজেটে সবার জন্য ন্যূনতম আয়কর ৪ হাজার টাকা করার প্রস্তাব দেয়া হয়েছিলো। তবে এটি পরিবর্তন হয়ে সব সিটি করপোরেশন পর্যায়ের করদাতাদের জন্য ৫ হাজার টাকা, জেলা পর্যায়ে ৪ হাজার টাকা ও উপজেলা পর্যায়ের করদাতাদের জন্য ৩ হাজার টাকা করা হতে পারে। এদিকে এবারের বাজেটে রপ্তানির ক্ষেত্রে উৎসকর ১ শতাংশ প্রস্তাব করা হয়েছিলো। তবে এটি কমিয়ে দশমিক ৮ শতাংশ করা হচ্ছে। বর্তমানে গার্মেন্টস রপ্তানির ক্ষেত্রে উৎসকর দশমিক ৩ শতাংশ ও অন্যান্য পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে দশমিক ৬ শতাংশ।

এনবিআর সূত্রে জানা গেছে, করদাতার গৃহসম্পত্তি বা বাড়ি ভাড়া খাতের আয়ের অনুমোদিত খরচের ক্ষেত্রে বিদ্যমান আইনের বিধানটি কঠোর হচ্ছে। মূলত করমুক্ত অনুমোদিত খরচে স্বচ্ছতা আনতে এ ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে আগামী অর্থবছর থেকে। অর্থাৎ এখন থেকে গৃহসম্পত্তি খাত থেকে আয়ের অনুমোদিত খরচের যে অংশ খরচ হবে না তার ওপর কর দিতে হবে। বিদ্যমান আইনে আবাসিক বাড়ির আয়ের ২৫ শতাংশ ও বাণিজ্যিক ভবনের ৩৩ শতাংশ অনুমোদিত খরচ হিসেবে দেখানোর সুযোগ রয়েছে। মূলত মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণ খরচ, বিভিন্ন পরিসেবার বিল পরিশোধ অনুমোদিত খরচ হিসেবে দেখানোর সুযোগ রয়েছে। খরচ না করলেও বা খরচ হিসেবে না দেখালেও করমুক্ত এ অর্থ দিয়ে বৈধভাবেই করদাতার অন্যান্য সম্পদ বাড়ানোর সুযোগ ছিলো।

Leave a comment