মাথাভাঙ্গা মনিটর: গত ক্লাব মেরসুমে তাদের আক্রমণভাগ করেছে ১৪৮ গোল। সেই আর্জেন্টিনা কোপা আমেরিকায় এখন পর্যন্ত চার ম্যাচে করেছে মাত্র চার গোল। একটি আবার পেনাল্টি থেকে। গত তিন ম্যাচে গোল দুটি। সেই আর্জেন্টিনাকে এবারের কোপা শুধু নয়, পুরো বিশ্বের এক নম্বর দল দাবি করার মধ্যে চাইলে যে কেউ আপত্তি করতেই পারে। মজার ব্যাপার হলো, আর্জেন্টিনাকে এ স্বীকৃতি দিচ্ছেন ৱ্যামন ডিয়াজ। প্যারাগুয়ে কোচ।
গ্রুপ পর্বে প্রথমে প্যারাগুয়েরই মুখোমুখি হয়েছিলো আর্জেন্টিনা। সেই ম্যাচে ২-০ গোলে এগিয়ে থেকেও শেষ পর্যন্ত ড্র করে জেরার্ডো মার্টিনোর দল। ব্রাজিলকেও একই ভাগ্য বরণ করতে হয়েছে প্যারাগুয়ের কাছে। দুঙ্গার দলকে তো বিদায় করে দিয়েই ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা পরম প্রার্থিত সেমির লড়াই ভেস্তে দিয়েছে ডিয়াজের দল। ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে নামার আগে ডিয়াজ কিন্তু কথার তোপ দাগানোর বদলে প্রথমে আর্জেন্টিনাকে প্রশংসার বৃষ্টিতেই ভেজালেন। বললেন, ‘আর্জেন্টিনা বিশ্বের এক নম্বর দল। আসলে শিষ্যদের মাটিতে পা রাখার চেষ্টাও করতে হচ্ছে ডিয়াজকে। পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের ছিটকে দেয়ার আনন্দ উদযাপনের সময় প্যারাগুয়ের নেই বলেই মন্তব্য করেছেন তিনি, আর্জেন্টিনা কেমন দল আমরা ভালো করেই জানি। ব্রাজিলের বিপক্ষে এ জয়ের বিশেষ মুহূর্তটা উপভোগ করার জন্য বেশি সময় আমাদের হাতে নেই। যদিও জানি খেলোয়াড়েরা, দলের কোচরা, প্রত্যেকে কত খুশি।
টুর্নামেন্টে এখন পর্যন্ত মাত্র দুটি দল অপরাজিত। সেই দুটি দলই ৩০ জুনের সেমিফাইনালে মুখোমুখি। তারকা কিংবা দলীয় শক্তির বিবেচনায় আর্জেন্টিনার চেয়ে প্যারাগুয়ে হয়তো পিছিয়ে। কিন্তু ডিয়াজ দলকে এই বলে মানসিক শক্তি জোগাচ্ছেন, এবারের কোপায় দক্ষিণ আমেরিকার তিন প্রধান দল ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা-উরুগুয়ে- কেউই তাদের হারাতে পারেনি, ব্রাজিলের বিপক্ষে জয়টা আমাদের জন্য একটা গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ, আমরা যে স্বপ্ন নিয়ে এগোচ্ছি, তাতে এই জয় বাড়তি জ্বালানি দেবে। আমরা এবার এরই মধ্যে আর্জেন্টিনা, উরুগুয়ে আর ব্রাজিলের সঙ্গে খেলেছি। এরা কেউই আমাদের হারাতে পারেনি। আমাদের দলটাকে তাই আপনাকে সম্মান দেখাতেই হবে। আর্জেন্টাইন কোচ ডিয়াজের শেষ কথাটায় কি আর্জেন্টিনার জন্যই প্রচ্ছন্ন হুমকি মিশে থাকল!