দর্শনা অফিস: দর্শনা জয়নগর চেকপোস্টে দালালচক্রের অত্যাচারে অতিষ্ঠ বাংলাদেশ-ভারত যাতায়াতকারী পাসপোর্টধারী যাত্রীরা। দালালচক্রের সদস্যরা একের পর এক অঘটন ঘটালেও অজ্ঞাত ইশরায় তারা নিজের অবস্থান মজবুত করেই থাকে। দর্শনা জয়নগর সীমান্তে ধুড়পাচার, চেকপোস্টে যাত্রী হয়রানিসহ চোরাচালানের সাথে জড়িত দালালচক্রের কেউ কেউ। চোরাচালানের মালামাল আটক করায় কাস্টমসের এক সিপাহীকে বেধড়ক পিটিয়ে জখম করেও জামাই বাবলুসহ ৩ হামলাকারী এখনো বহাল তবিয়তে রয়েছে। ঘটনার দু দিন পেরিয়ে গেলেও পুলিশ গ্রেফতার কাউকে করতে পারেনি। আহত কাস্টমস সিপাহী চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন। অভিযোগ উঠেছে, দর্শনা জয়নগরের সৈয়দ আলীর জামাতা চেকপোস্টের অভিযুক্ত দালাল জামাই বাবলু, একই গ্রামের বাইতুল্লাহ গায়েনের ছেলে খোরশেদ ও রসুল বক্সের ছেলে আনোয়ার দীর্ঘদিন ধরে চেকপোস্টে দালালির পাশাপাশি চোরাচালানী করছে। ভারত থেকে শাড়ি, থ্রিপিস, সার্ট, প্যান্টসহ বিভিন্ন মালামাল প্রকাশ্য ও চোরাইপথে পাচার করে আনে তারা। গতপরশু শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে ৫৩০ পিস ভারতীয় শাড়ি অবৈধভাবে আনছিলো বাবলু, আনোয়ার ও খোরশেদ। এ সময় দর্শনা জয়নগর চেকপোস্টের কাস্টমস অফিসার ইনচার্জ কামরুজ্জামান সঙ্গীয় সদস্যদের নিয়ে ৫৩০ পিস ভারতীয় শাড়ি আটক করে। আটককৃত মালামাল ছিনিয়ে নেয়ার সময় কাস্টমস সদস্যদের সাথে দালালচক্রের অভিযুক্ত ওই ৩ জনের ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটে। এক পর্যায়ে জামাই বাবলু, খোরশেদ ও আনোয়ার বেধরকভাবে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে কাস্টমস সিপাহী লিপন মুন্সিকে। এ ঘটনায় কাস্টমস ইনচার্জ কামরুজ্জামান বাদী হয়ে ওই দিনই ৩ জনের বিরুদ্ধে দামুড়হুদা থানায় মামলা করেছেন। ঘটনার দু দিন পেরিয়ে গেলেও হামলাকারীদের কেউ গ্রেফতার হয়নি। তবে হামলাকারীরা গতকাল শনিবার দিনভর চেকপোস্ট এলাকায় তাদের নিয়মিত অপকর্ম চালিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছে স্থানীয়রা। এ বিষয়ে এলাকাবাসী চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপারের কাছে দাবি তুলেছে। এ ঘটনায় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দর্শনা আইসি ইনচার্জ এসআই মিজানুর রহমান বলেছেন, হামলাকারীদের গ্রেফতারের প্রক্রিয়া চলছে।