স্টাফ রিপোর্টার: বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া বলেছেন, বর্তমান সরকার ক্ষমতাসীন হওয়ার পরে বিরোধীদলের অসংখ্য নেতাকর্মী গুম, অপহরণ ও গুপ্তহত্যার শিকার হয়েছেন। বর্তমানে কারাগারে ৫০ হাজারের মতো বিরোধী দলীয় নেতাকর্মী সমর্থক দুঃসহ জীবন কাটাচ্ছেন। হয়রানিমূলক মিথ্যা মামলা কাঁধে বয়ে হাজার হাজার নেতাকর্মী পালিয়ে থেকে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। অনেক নেতাকর্মী এখনও নিখোঁজ। ২৬ জুন জাতিসংঘ ঘোষিত আন্তর্জাতিক নির্যাতনবিরোধী দিবস উপলক্ষে গতকাল বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমে দেয়া এক বিবৃতিতে তিনি এসব দাবি করেন। দলের মুখপাত্র ড. আসাদুজ্জামান রিপন স্বাক্ষরিত ওই বিবৃতিতে খালেদা জিয়া আরো বলেন, বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে আন্তর্জাতিক নির্যাতনবিরোধী দিবসটি অত্যন্ত তাত্পর্যময়। যেসব দেশে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ভঙ্গুর, জনগণের ভোটাধিকার হরণ করে কর্তৃত্ববাদী শাসন ব্যবস্থা প্রবর্তন করা হয়, সেসব দেশে ক্ষমতাসীনরা ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য বিরোধী শক্তিকে দমন করতে নির্যাতনের পথ বেছে নেয়।
বিবৃতিতে বিএনপি প্রধান দিবসটি উপলক্ষে বাংলাদেশসহ বিশ্বের সকল নির্যাতিত মানুষের প্রতি সহমর্মিতা প্রকাশ করে বলেন, আমি বিশ্বাস করি- মানবিকবোধে উদ্বুদ্ধ বিশ্বের সকল গণতন্ত্রকামী মানুষের ঐক্যবদ্ধ প্রয়াসেই মানবতাবিরোধী শক্তির পরাজয় নিশ্চিত করা সম্ভব।
গতকাল ঢাকার সোনারগাঁও হোটেলে জামায়াতে ইসলামী আয়োজিত ইফতার মাহফিলে খালেদা জিয়া প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকলেও তিনি অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছেছেন মাগরিবের আজানের পর। সন্ধ্যা ৬টা ৫৫ মিনিটে তিনি উপস্থিত হওয়ার পর আয়োজকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, যানজটের কারণে তিনি সঠিক সময়ে পৌঁছুতে পারেননি, তাই তিনি বক্তব্য রাখতে পারছেন না।
জামায়াতের নায়েবে আমির অধ্যাপক মজিবুর রহমানের সভাপতিত্বে ইফতারে ২০ দলীয় জোট নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন এলডিপি সভাপতি ড. কর্নেল অলি আহমদ (অব.), ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ নেজামী, জাগপা সভাপতি শফিউল আলম প্রধান, জাতীয় পার্টি (জাফর) মহাসচিব মোস্তফা জামাল হয়দার, কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, এনপিপি চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, এনডিপি চেয়ারম্যান খন্দকার গোলাম মর্তুজা, বাংলাদেশ ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গণি প্রমুখ। বিএনপির নেতাদের মধ্যে ইফতারে যোগ দেন- এম কে আনোয়ার, নজরুল ইসলাম খান, অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন প্রমুখ।
সাংবাদিকদের মধ্যে সংগ্রাম সম্পাদক আবুল আসাদ, কলামিস্ট সাদেক খান, শওকত মাহমুদ, এম এ আজীজ, রুহুল আমিন গাজী, সৈয়দ আবদাল আহমেদ, আবদুল হাই শিকদার প্রমুখ এ ইফতারে যোগ দেন। জামায়াত নেতাদের মধ্যে ছিলেন- মাওলানা ইউসুফ, এএসএম আব্দুল হালীম, মতিউর রহমান আকন্দ প্রমুখ।
এছাড়া কবি আল মাহমুদ, শর্ষিনার মেজো পীর সাহেব আরিফ বিল্লাহ সাহেদী, আলী আহসান মুজাহিদের ছেলে আলী আহসান তাহকিক, দেলাওয়ার হোসেন সাঈদীর ছেলে শামীম বিন সাঈদীসহ জামায়াতের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা ইফতারে অংশ নেন।