যেখানকার মানুষ পরিশ্রমী হয় সেখানকার মানুষ খারাপ হতে পারে না
স্টাফ রিপোর্টার: যুগ্মসচিব পদে পদোন্নতি পেয়ে বদলির আদেশপ্রাপ্ত চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক মো. দেলোয়ার হোসাইনকে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা, ইউপি চেয়ারম্যানগণ ও সরকারি কর্মকর্তাদের পক্ষ থেকে সংবর্ধনা দেয়া হয়েছে। গতকাল বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার সভাকক্ষে জেলা প্রশাসকের বদলিজনিত কারণে আয়োজিত মতবিনিময়সভায় এ সংবর্ধনা প্রদান করা হয়। বিদায়ী জেলা প্রশাসক যুগ্মসচিব মো. দেলোয়ার হোসাইন তার বক্তব্যে বলেন, বর্তমানে অন্য জেলার তুলনায় আমরা সকলে অত্যন্ত ভালো আছি। এ জেলায় চাকরি করতে এসে এখানকার মানুষ সম্পর্কে আমার ধারণা পাল্টে গেছে। এ জেলার মানুষ অত্যন্ত পরিশ্রমী। যেখানকার মানুষ পরিশ্রমী হয় সেখানকার মানুষ খারাপ হতে পারে না। ভারত থেকে সীমান্ত পথে চোরাচালানীরা লাভের জিনিসপত্র আনা-নেয়া করে। মাদকদ্রব্যসহ ফেনসিডিল আসে। গরু আসে। বর্তমানে আসা বন্ধ হওয়ায় গরুর মাংসের দাম সাড়ে ৩শ টাকায় এসে দাঁড়িয়েছে। তিনি বলেন, এ জেলার মানুষ অত্যন্ত শান্তিপ্রিয়। যার পরিপ্রেক্ষিতে ২ বছর ৭ মাস এ জেলায় আমি সুন্দরভাবে দায়িত্ব পালন করেছি। প্রধান অতিথি আরো বলেন, চুয়াডাঙ্গা জেলার মানুষের কথা আমি কোনোদিন ভুলবো না। এ সময় উপজেলা নির্বাহী অফিসার কেএম মামুন উজ্জামান সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বিদায়ী প্রধান অতিথির এ জেলায় বর্ণময় কর্মজীবন নিয়ে বক্তব্য রাখেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান মো. আসাদুল হক বিশ্বাস, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান কহিনুর বেগম, মো. বদিউজ্জামান উপসহকারী কমিশনার (ভূমি) এবং চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার সকল ইউনিয়নের চেয়ারম্যানগণ। শেষে বিদায়ী জেলা প্রশাসক মো. দেলোয়ার হোসাইনের হাতে উপজেলার পক্ষ উপহার সামগ্রী তুলে দেয়া হয়। বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সমাজসেবা অফিসার আব্দুল্লাহ আলসামী।
আলমডাঙ্গা ব্যুরো জানিয়েছে, আলমডাঙ্গা উপজেলা প্রশাসন গতকাল বিদায়ী জেলা প্রশাসক মো. দেলোয়ার হোসাইনের বিদায় সংবর্ধনানুষ্ঠানের আয়োজন করে। আলমডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার আহমেদ কামরুল হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিদায়ী জেলা প্রশাসক মো. দেলোয়ার হোসাইন। বিশেষ অতিথি ছিলেন আলমডাঙ্গা উপজেলা চেয়ারম্যান হেলাল উদ্দীন, উপজেলা সহকারী কমিশনার আশিফুর রহমান, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান কাজী খালেদুর রহমান অরুণ, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শামীম আরা ও উপজেলা ইউপি চেয়ারম্যান সমিতির সভাপতি সানোয়ার হোসেন লাড্ডু।
এ সময় বিদায়ী জেলা প্রশাসক বলেন, চুয়াডাঙ্গা জেলায় চাকরিতে যোগদানের পূর্বে এ জেলা সম্পর্কে যে কথা শুনেছিলাম, দু বছর ৭ মাস এখানে চাকরি করে তার অনেক কিছুই ভুল বলে প্রমাণিত হয়েছে। এ জেলার মানুষ অত্যন্ত পরিশ্রমী। বছরে একই জমিতে ৪বার ফসল ফলায়। এমনটা দেশের আর কোথাও দেখা যায় না।। এ জেলার মানুষ অক্লান্ত পরিশ্রম করে ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটিয়েছে। তিনি বলেন, এ জেলার মানুষ যদি কখনও মনে করে তিনি তাদের কাজে লাগতে পারেন, তবে তিনি তা সানন্দে করবেন বলে আশ্বস্ত করেন।
উপজেলা সমাজসেবা অফিসার আবু তালেবের উপস্থাপনায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- উপজেলা কৃষি অফিসার খন্দকার হাসিবুর রহমান, উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাক্তার এইচএম শামীমুজ্জামান, উপজেলা মৎস্য অফিসার মঈনুল ইসলাম, প.প. কর্মকর্তা আব্দুস সাত্তার, নির্বাচন অফিসার সামিউল আলম, পিআইও মিজানুর রহমান, শিক্ষা অফিসার আবু হাসান, পরিসংখন অফিসার রাশেদুজ্জামান, বিআরডিবি কর্মকর্তা হোসনে আরা, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মাখছুরা জান্নাত, বিআরডিবির পিআইও মোশারেফ হোসেন, হিসাবরক্ষণ অফিসার জেডএম দেদারুল ইসলাম, সিএ-২ (উপজেলা চেয়ারম্যান) নাজমুল সাইহাম, উপজেলা নির্বাহী অফিসের সুপার আব্দুর রউফ, সিএ-কাম উন্নমান সহকারী জহিরুল ইসলাম, অফিস সহকারী শফিকুল ইসলাম, টেকনিশিয়ান রাকিব উদ্দীন রনি, অফিস সহায়ক আরিফুল ইসলাম, আমিরুল ইসলাম, ডিএমও বিকাশ কুমার দত্ত, জারিকারক আমিনুল রশিদ, সোহরাব হোসেন প্রমুখ।