১০ উইকেটের নাটকীয় জয় পেয়েছে পাকিস্তান

মাথাভাঙ্গা মনিটর: অনিশ্চয়তার দল বলা হয় পাকিস্তানকে। যুগ যুগ ধরে তারা এটাই প্রমাণ করে আসছে। শ্রীলঙ্কার গল স্টেডিয়ামে আরেকবার তারা প্রমাণ করল কেন তাদের বলা হয় ক্রিকেটের ‘আনপ্রেডিক্টেবল’ দল। গল টেস্টের শেষ দিনে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ১০ উইকেটের এক নাটকীয় জয় পেয়েছে পাকিস্তান।
খেলাটার প্রথম দিন ভেসে গিয়েছিলো বৃষ্টিতে। চার দিনের মধ্যেই খেলাটা পুরোপুরি পাকিস্তানের। একটি নাম এখানে নিতেই হয়- ইয়াসির শাহ্। এ লেগ স্পিনারের অসাধারণ বোলিংয়েই মূলত কুপোকাত লঙ্কানরা। ইয়াসির নিয়েছেন ৭ উইকেট।

বৃষ্টি-বিঘ্নিত এ টেস্টে টসে জিতে ফিল্ডিং বেছে নিয়েছিলেন মিসবাহ-উল-হক। অধিনায়কের সিদ্ধান্তকে দারুণ ভাবেই সম্মান দেন পাকিস্তানি বোলাররা। মাত্র ৩০০ রানেই শেষ হয় শ্রীলঙ্কার ইনিংস। বিপর্যয়ের মুখে কুশাল সিলভার ১২৫ রানের ইনিংসটিই মূলত মানরক্ষা করে। কুমার সাঙ্গাকারার ব্যাট থেকে আসে ৫০ রান। ওয়াহাব রিয়াজ ৩ উইকেট নেন ৭৪ রানের বিনিময়ে।
পাকিস্তানের জবাবটা শুরুতে ছিলো রীতিমতো তথৈবচ। মাত্র ৯৬ রানে প্রথম ৫ উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকা পাকিস্তানকে রক্ষা করেন আসাদ শফিক ও সরফরাজ আহমেদ। এ দুইয়ের ১৩৯ রানের দুর্দান্ত জুটি দলকে এনে দেয় ১১৭ রানের লিড। শফিক আউট হন ১৩১ রান করে। সরফরাজ মাত্র ৪ রানের জন্য মিস করেন সেঞ্চুরি। নাইট ওয়াচম্যান জুলফিকার বাবরের ব্যাট থেকেও আসে দারুণ এক হাফ সেঞ্চুরি। দ্বিতীয় ইনিংসে ইয়াসির শাহর তোপে শ্রীলঙ্কার ইনিংস শেষ হয় ২০৬ রানে। দ্বিমুথ করুনারত্নের ৭৯ রানই এই ইনিংসে ছিলো সর্বোচ্চ। ইয়াসির ৭ উইকেট নেন ৭৬ রানের বিনিময়ে। দ্বিতীয় ইনিংসের অভাবনীয় বিপর্যয়ের পর গল টেস্ট জিততে পাকিস্তানের লক্ষ্যমাত্রা ছিলো মাত্র ৯০ রানের। সেই লক্ষ্যে টি-টোয়েন্টি স্টাইলে ব্যাট চালিয়ে খুব সহজেই পৌঁছে যায় পাকিস্তানিরা। মাত্র ১১.২ ওভারে কোনো উইকেট না হারিয়ে ৯২ রান তুলে এক অসাধারণ জয় নিজেদের করে নেয় পাকিস্তান।