স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা পুলিশ লাইন আবাসিক কোয়ার্টারের নিচতলায় এক পুলিশ সদস্যের স্ত্রীর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। তার নাম শান্তা বেগম (২২)। তিনি পুলিশ কনস্টেবল হেলাল পারভেজের স্ত্রী। প্রথমে ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশ দাফনের প্রক্রিয়া করে পুলিশ সদস্যের পিতা। সে চেষ্টা শেষে ধোপে টেকেনি। অবশেষে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে সুরতহাল রিপোর্ট প্রণয়নের পর ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করা হয়।
পুলিশ জানায়, গতকাল শনিবার ভোররাতে পুলিশ লাইন চত্বরের বাসা থেকে শান্তা বেগমের গলায় ফাঁস দেয়া ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারের পর চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। শান্তা বেগমের বাবা মাগুরা শহরের টিটিটিসি এলাকার জিবলু গাজী জানান, প্রায় পাঁচ বছর আগে মেয়ে শান্তা বেগমের সাথে শ্রীপুর উপজেলার ছাবিনগর গ্রামের নোয়াবুল ইসলামের ছেলে হেলাল পারভেজের বিয়ে হয়। বিয়ের পর তাদের দাম্পত্য জীবনে সাত মাস বয়সী একটি মেয়ে সন্তান আছে। কনস্টেবল হেলাল কয়েকমাস ধরে পরকীয়া করতে থাকায় মেয়ের দাম্পত্য জীবনে অশান্তি দেখা দেয়। বিষয়টি নিয়ে একমাস আগে পারিবারিকভাবে সালিস বৈঠকও হয়। নিহতের আত্মীয়স্বজন দাবি করেছে, শান্তার মৃত্যুর পেছনে স্বামী হেলালের পরকীয়া দায়ী।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত আরএমও ডা. মাসুদ রানা জানান, ভোর চারটা ৫০ মিনিটের সময় এসআই কৃষ্ণ ও কনস্টেবল নাজমা শান্তাকে জরুরি বিভাগে নিয়ে আসেন। এ সময় কর্তব্যরত চিকিৎসক শান্তাকে মৃত ঘোষণা করেন। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গোলাম বেনজীর জানান, তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় সদর থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।