দামুড়হুদা প্রতিনিধি: দামুড়হুদায় পুলিশি হস্তক্ষেপে বাল্যবিয়ে বন্ধ হয়ে গেছে। গতকাল বুধবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার হাউলী ইউনিয়নের জয়রামপুর মালিথা পাড়ায় ওই বাল্যবিয়ের আয়োজন করা হলেও শেষমেশ পুলিশি হস্তক্ষেপে বিয়ে ভেস্তে গেছে।
জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার হাউলী ইউনিয়নের জয়রামপুর মালিথা পাড়ার সমীর উদ্দিনের নাবালিকা মেয়ে জয়রামপুর দাখিল মাদরাসার ৭ম শ্রেণির ছাত্রী ফতেমা খাতুন ওরফে ফতের (১৩) সাথে একই গ্রামের চৌধুরী পাড়ার আনছার আলীর নাবালক ছেলে শাহাবুলের (১৭) পারিবারিকভাবে গতকাল বুধবার বিয়ের দিন ধার্য করা হয়। কিন্তু বর ও কনের বয়স কম হওয়ায় বিয়েটি দিনের বেলায় না দিয়ে রাতের আঁধারে গোপনে বিয়ে পড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়। কথা মোতাবেক গতকাল বুধবার রাত ৮টার দিকে বরসহ প্রায় ৩০/৩৫ জন বরযাত্রী কনের পিতার বাড়ি মালিথা পাড়ায় পৌঁছায়। রাতের আঁধারে গোপনে বাল্যবিয়ে পড়ানো হচ্ছে এমন খবর পেয়ে দামুড়হুদা মডেল থানার ওসি কামরুজ্জামান তাৎক্ষণিকভাবে ওই বিয়েবাড়িতে পুলিশ পাঠান। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে বিয়ে পড়াতে আসা কলোনিপাড়া মসজিদের ইমাম আবুল হাসান ওরফে আবু মোল্লা সটকে পড়েন। ভেস্তে যায় বাল্যবিয়ে।
স্থানীয়রা জানান, ওই আবু মোল্লা ইতঃপূর্বেও মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে বেশ কয়েকটি বাল্যবিয়ে পড়িয়েছেন। এদিকে দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের ভ্রাম্যমাণ আদালতের ভয়ে বর ও কনে নিজ বাড়িতে না থেকে রাতে ছেলের খালু তারানীপুরের নিজামের বাড়িতে আশ্রয় নেয় বলে খবর পাওয়া গেছে। আজ বৃহস্পতিবার কোর্টে অথবা অন্য কোথাও লুকিয়ে ওই বিয়ে সম্পন্ন হবে বলেও এলাকাবাসী জানিয়েছে। বিষয়টিতে দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছে এলাকাবাসী।