স্টাফ রিপোর্টার: চারদিকে বাংলাদেশ-ভারতের বন্ধুত্বের আবহ। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরকে কেন্দ্র করে রাষ্ট্র পর্যায়ে গাওয়া হচ্ছে দু দেশের বন্ধুত্বের জয়গান। গতকাল ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর বিদায়ের পর আজ ঢাকায় পা রাখতে যাচ্ছে ভারতীয় ক্রিকেট দল। দলটির টেস্ট অধিনায়ক বিরাট কোহলি ঢাকায় পা রাখছেন বন্ধুত্বের ঝাণ্ডা উড়িয়েই। যদিও গত মার্চে মেলবোর্নে কোয়ার্টার ফাইনালের পর থেকে দু দেশের ক্রিকেটে তৈরি হয়েছে আলাদা উত্তেজনা। সেদিন বাংলাদেশের বিপক্ষে বেশ কয়েকটি বিতর্কিত সিদ্ধান্ত যাওয়ায় বাংলাদেশের সমর্থকেরা বেশ চটেছিল আম্পায়ার ও প্রতিপক্ষের ওপর। ৪০তম ওভারে রুবেল হোসেনের বলে রোহিত শর্মার সেই নো বল, মাহমুদউল্লাহর বিতর্কিত ক্যাচ, সুরেশ রায়নার এলবিডব্লিউর আবেদন নাকচ হয়ে যাওয়া সবমিলিয়ে বাংলাদেশের সমর্থকেরা ক্ষোভে ফুঁসে উঠেছিলো। এসব ব্যাপার তো আছেই, একই সাথে আইসিসিকে ইন্ডিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল বলায় বিষয়টি ভালোভাবে নিতে পারেনি ভারতও। এতে সংশয় দেখা গিয়েছিলো ভারতের বাংলাদেশ সফর নিয়েও। সে শঙ্কা দূর হয় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের তৎপরতা ও ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের নতুন সভাপতি জগমোহন ডালমিয়ার উদ্যোগে। আসন্ন সিরিজে অতীত ভুলে ক্রিকেটীয় চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে মাঠের লড়াইয়ে সীমাবদ্ধ থাকতে চান কোহলি। বিশ্বকাপের সেই ম্যাচটির প্রসঙ্গ জানতে চাওয়া হলে ভারতের টেস্ট অধিনায়ক বলেছেন, সেসব পেছনে ফেলে এসেছেন, আগে অনেক কিছুই ঘটেছে। তবে এখন আমাদের দৃষ্টি সামনে। বিশ্বকাপেই সেটা আমরা শেষ করেছি। এরপর আরও ক্রিকেট খেলেছি। কাজেই মনে করি না, সেটা আমাদের খুব একটা মনে থাকবে। শুধু তাই নয়, ওসব নিয়ে যা ঘটে গেছে তা নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছেনও না কোহলি, আমরা সেখানে খেলতে যাচ্ছি খেলতে ও টেস্ট ম্যাচটা জিততে। আপাতত তাতেই আমাদের মনোযোগ। এমন নয় ওদের ব্যাপারে আমাদের কোনো ঈর্ষা, আক্রোশ বা ঘৃণা আছে। খাঁটি ও সাধারণ পেশাদারি বজায় থাকবে।
গতকাল ভারতের টেস্ট দল কলকাতায় অনুশীলন শুরু করেছে। ঢাকার বিমানে ওঠার আগে সেখানে হলো দুদিনের ফিটনেস ক্যাম্প। কোহলি বললেন, ফিটনেস টেস্ট হয়েছে আমাদের। আমরা মনে করি ফিটনেসের জায়গায় আমাদের আরও উন্নতির সুযোগ আছে।
উল্লেখ্য, আগামী ১০ জুন ফতুল্লা স্টেডিয়ামে টেস্টম্যাচের মধ্য দিয়ে সিরিজ শুরু হবে। এরপর তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ হবে যথাক্রমে ১৮, ২১ ও ২৪ জুন। তবে জুনে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনার দরুন প্রতিটা ওয়ানডে ম্যাচের জন্য থাকছে রিজার্ভ ডে। দিবা-রাতের খেলা হতে না পারলে পরের দিন অনুষ্ঠিত হবে।