মাথাভাঙ্গা মনিটর: ‘সমসাময়িক ছো টগল্পের দিকপাল’খ্যাত কানাডীয় লেখক অ্যালিস মুনরো চলতি বছর সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পেলেন। সুইডিশ নোবেল একাডেমী মুনরোকে এ বছর সাহিত্যে নোবেল পুরস্কারের জন্য মনোনীত করে। সুইডিশ একাডেমীর স্থায়ী সেক্রেটারি পিটার ইংলুড এ পুরস্কারের ঘোষণা দেন।
অ্যালিস মুনরো এ পর্যন্ত সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পাওয়া ১৩তম নারী। ‘ডিয়ার লাইফ’ ও ‘ড্যান্স অব দ্য হ্যাপি শেডস’ মুনরোর বহুল আলোচিত ছোটগল্পগুলোর মধ্যে অন্যতম। ৮২ বছর বয়সী এ ছোটগল্পকার কিশোর বয়সে লেখালেখি শুরু করেন। ১৯৫০ সালে তার প্রথম ছোটগল্প ‘দ্য ডাইমেনশনস অব এ শ্যাডো’ প্রকাশিত হয়। তিনি সে সময় ওয়েস্টার্ন অন্টারিও বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি বিষয়ে পড়াশোনা করছিলেন। ১৯৬৮ সালে প্রকাশিত তার বই ‘ড্যান্স অব হ্যাপি শেডস’ কানাডার সর্বোচ্চ সাহিত্য পুরস্কার গভর্নর জেনারেল পুরস্কার পায়। ২০০৯ সালে সাহিত্যকর্মে অবদানের জন্য অ্যালিস মুনরো আন্তর্জাতিক ম্যান বুকার পুরস্কার লাভ করেন। মুনরো তার লেখনীতে মানবীয় চেতনা ও ছোট শহরগুলোতে মেয়েদের বেড়ে ওঠার পেছনের দ্বন্দ্ব সংঘাত ফুটিয়ে তোলেন। মুনরোর প্রথম দিকের গল্পগুলোতে উইংহ্যাম শহরে তার নিজের বেড়ে ওঠার অভিজ্ঞতার প্রতিফলন দেখা যায়। ১৯৭৬ সালে সাউল বেলোর পর মুনরোই সাহিত্যে নোবেল পুরস্কারজয়ী প্রথম কানাডীয় সাহিত্যিক। গত বছর চীনের সাহিত্যিক মো ইয়ান সাহিত্যে নোবেল পান।