স্টাফ রিপোর্টার: নাম বিদ্যুত। চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের কেউ না হলেও স্বেচ্ছাসেবক কার্ড আছে তার। রাতে এ বিদ্যুতের কাছেই অবৈধভাবে রাখা থাকে রক্ত পরিসঞ্চালন বিভাগের চাবি। তিনিই গতরাতে এক প্রসূতি রোগীর জন্য সুযোগ বুঝে বি-পজেটিভ এক ব্যাগ রক্তের দাম নিয়েছেন ১৪শ টাকা। তিনি হাসপাতালের ব্লাডব্যাংকে সংরক্ষিত রক্ত ফ্রিজ থেকে বের করে দিয়ে ১৪শ টাকা নিলেও রোগীর স্বামীর নিকট আড়াইশ টাকার রসিদ ধরিয়ে দেন।
জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা জেলা সদরের ভুলটিয়ার সানোয়ার হোসেনের স্ত্রী লাবনী খাতুনকে প্রসববেদনাসহ গতরাত ৮টার দিকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রাত ১০টার দিকে কন্যাসন্তান প্রসব করেন তিনি। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে জরুরিভাবে রক্ত দেয়ার পরামর্শ দেন কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. রাজিবুল ইসলাম। প্রসূতি রোগীর সাথে থাকা লোকজন অতো রাতে রক্ত পাবেন কোথায়? হাসপাতালেরই রক্ত পরিসঞ্চালন কক্ষের সামনেই ছিলেন বিদ্যুত নামের এক ব্যক্তি। তিনি রক্ত দেয়ার কথা জানিয়ে ১৪শ টাকা দাবি করেন রোগীর স্বামীর নিকট। উপায় না পেয়ে তাতেই রাজি হন তিনি। রক্ত দেয়ার পর আড়াইশ টাকার রসিদও দেন বিদ্যুত।
এ বিষয়ে কর্তব্যরত চিকিৎসকের নিকট জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, রক্ত ক্রসমিশনসহ আনুসঙ্গিক খরচের জন্য আড়াইশ টাকা খরচ নেয়া হয়। রক্তের দাম নেয়ার বৈধতা হাসপাতালে নেই। তাছাড়া বিদ্যুত নামের যে ছেলেটা রক্তে দিয়েছে সে হাসপাতালের কেউ নয়। তার নিকট রক্ত পরিসঞ্চালন বিভাগের কক্ষের চাবি কেন, তা জানি না। চঞ্চল নামের একজনের ওই বিভাগে থাকার কথা। তিনি কোথায় তাও বলতে পারবো না।