এখন পর্যন্ত পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি
বেগমপুর প্রতিনিধি: চুয়াডাঙ্গা সদরের হরিশপুর গ্রামে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে চাচার হাতে নিহত ভাতিজা রাজ্জাকের মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে বেদনা বিধুর পরিবেশে দাফন সম্পন্ন করা হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের চাচা বিল্লাল হোসেন বাদী হয়ে ৭ জনের বিরুদ্ধে হত্যামামলা দায়ের করলেও পুলিশ এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি।
জানা গেছে, শনিবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বেগমপুর ইউনিয়নের হরিশপুর দক্ষিণপাড়ার বদর উদ্দিনের ছেলে ইলেকট্রিক মিস্ত্রি আব্দুর রাজ্জাককে (৩২) জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে দুঃসম্পর্কের চাচা বছির উদ্দিনের ছেলে ইউনুচ ও তার লোকজন হরিশপুর বাজারে দলে চটকে এবং সাবলের আঘাতে গুরুত্বর জখম করে। আহত রাজ্জাককে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেয়ার পর দুপুর ১২টার দিকে তার মৃত্যু হয়। হাসপাতাল থেকে নিহত রাজ্জাকের মৃতদেহ বাড়িতে নিয়ে চলে আসে পরিবারের লোকজন। পরে এ ঘটনায় নিহতের চাচা বিল্লাল হোসেন বাদী হয়ে ৭ জনের বিরুদ্ধে দায়ের করেন হত্যামামলা। হত্যামামলা করার কারণে রাজ্জাকের লাশ পুণরায় চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালমর্গে নেয়া হয়। গতকাল রোববার দুপুর দেড়টার দিকে লাশের ময়নাতদন্ত শেষে বিকেল ৪টার দিকে বেদনাবিধুর পরিবেশে হরিশপুর গ্রামের কবরস্থানে রাজ্জাকের দাফন সম্পন্ন করা হয়। মামলার বাদী বিল্লাল হোসেন অভিযোগ করে বলেন, ঘটনার দিন আহত রাজ্জাকের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নেয়ার সময় গ্রামের বিশার ছেলে জাহিরুল, আফসারের ছেলে আ.রহিম এবং বক্সের ছেলে আসাদুল বাধা দেয়। পরে চুরি করে রাজ্জাককে হাসপাতালে নেয়া হয়। এদিকে ঘটনার ২ দিন অতিবাহিত হলেও এখন পর্যন্ত পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। এ বিষয়ে রাজ্জাক হত্যামামলার তদন্তকারী অফিসার এসআই শফিকুল ইসলাম জানান, আসামিদের গ্রেফতারের জোর প্রচেষ্টা চলছে।
৭ জনকে আসামি করে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলায় বশির মিয়ার ছেলে ইউনুচ আলী, আলম মণ্ডলের ছেলে মোবারক, বকশ মণ্ডলের ছেলে শহিদুল, গাজী রহমানের ছেলে ৪ ছেলে আবুল হোসেন, জমির আলী, আমির আলী, জহির আলী। পুলিশ এদের গ্রেফতার করতে পারেনি। তবে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বলেছেন, গ্রেফতারের প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে।