স্টাফ রিপোর্টার: বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি পদে নির্বাচন করার ঘোষণা আগেই দিয়েছিলেন সাবেক সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরী। এবার বর্তমান অ্যাডহক কমিটির সভাপতি নাজমুল হাসানও সভাপতি পদে নির্বাচন করার ঘোষণা দিলেন। বৃহস্পতিবার জেলা ক্রীড়া সংস্থার ১০ সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি এ ঘোষণা দিয়ে বলেন, ‘আমি বিসিবির নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবই।’ এদিকে বিসিবির সঙ্গে জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদকদের সভা ফ্লপ হয়েছে। অ্যাডহক কমিটির সদস্য আইএইচ মল্লিক ঘোষণা দিয়েছিলেন তাদের সঙ্গে জেলা ক্রীড়া সংস্থার ৩৫ জন সাধারণ সম্পাদক রয়েছেন। কিন্তু বৃহস্পতিবার দেখা গেল উল্টো চিত্র। বিসিবি ৭১টি জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদকদের বৈঠকে ডেকেছিল। উপস্থিত ছিলেন মাত্র ১০ জন। ২২ জন ছিলেন জেলা ক্রীড়া সংস্থাগুলোর সাবেক সাধারণ সম্পাদক কিংবা বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা। ১০ জনের মধ্যেও তিনজন গিয়েছিলেন গোয়েন্দা হিসেবে। সভার আলোচনার বিষয়বস্তু তারা মুহূর্তের মধ্যে ক্রীড়া সংগঠক পরিষদের নেতাদের কাছে মোবাইলে জানিয়ে দিয়েছেন। একজন তো মোবাইলে পুরো সভার কথাবার্তা রেকর্ড করে নিয়ে এসেছেন।
সভায় উপস্থিত ১০ সাধারণ সম্পাদক হলেন- আজম নাসির (চট্টগ্রাম জেলা), আলমগীর খান আলো (বরিশাল বিভাগ), আমিনুল ইসলাম সুরুজ (বরিশাল জেলা), শামসুল হুদা কিসলু (রাজশাহী বিভাগ), আনোয়ার (চট্টগ্রাম বিভাগ), মকবুল (মাগুরা), শেখ নিজামউদ্দিন (সাতক্ষীরা), লাভলু (কুষ্টিয়া), আপেল (মানিকগঞ্জ) ও নাদেল (সিলেট বিভাগ)। নিজেকে যশোরের সাধারণ সম্পাদক দাবি করে হাজির হয়েছিলেন কবির। কিন্তু যশোর জেলা ক্রীড়া সংস্থার নির্বাচন নিয়ে মামলা থাকায় কমিটি গঠন স্থগিত রয়েছে। তাদের বাইরেও কয়েকজন সাবেক সাধারণ সম্পাদক এসেছিলেন। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেনÑ আবদুল হাই (জয়পুর হাট) ও শামীম (পাবনা)। সভা সূত্রে জানা গেছে, বিভিন্ন জেলায় নিজস্ব লোকদের কাউন্সিলর করে আনার ব্যাপারে তৎপরতা চালানো হচ্ছে। জাতীয় দলের সাবেক দুই অধিনায়ক আকরাম খান ও নাইমুর রহমান দুর্জয়কে জেলা কোটা থেকে কাউন্সিলর করার ব্যাপারে নাজমুল হাসান সাধারণ সম্পাদকদের সমর্থন চেয়েছেন।
এদিকে বিসিবির সভাপতি আকরাম ও দুর্জয়কে জেলা কোটা থেকে কাউন্সিলর করতে চাইলেও সরকারের নীতি নির্ধারকরা ভাবছেন অন্য কথা। আওয়ামী লীগের এক প্রভাবশালী নেতা জানিয়েছেন, সরকার সাবেক ক্রিকেটারদের যথাযথ সম্মানের ব্যাপারটি নিশ্চিত করতে চাইছে। আকরাম ও দুর্জয় জেলা কাউন্সিলর হলে তাদের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে পরিচালক হতে হবে। এ দুই ক্রিকেটারের নির্বাচনে জয়ী না হওয়ার আশংকা থেকে যায়। সেজন্য আকরাম-দুর্জয়সহ আরেক সাবেক অধিনায়ক খালেদ মাহমুদকে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের কোটায় কাউন্সিলর করার চিন্তাভাবনা চলছে। বিসিবির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের পাঁচজন কাউন্সিলর ও তিনজন পরিচালক থাকবেন। বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, খুলনার ক্রীড়া সংগঠক শেখ সোহেল এবং মাদারীপুরের নিক্সন চৌধুরীকে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের কোটায় কাউন্সিলর করা হতে পারে। অন্যদিকে রাজশাহী বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক শামসুল হুদা কিসলুর পদপদবি নিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। রাজশাহী জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক রাফিউস শামস প্যাডি বলেন, ‘বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার মেয়াদকাল শেষ হয়ে গেছে। নির্বাচন দেয়ার কথা থাকলেও কিসলু সাহেব নির্বাচন আয়োজন না করার তৎপরতা চালাচ্ছেন। গঠনতন্ত্র অনুযায়ী কিসলু এই পদে থাকতে পারেন না। আমি জেলা ও বিভাগীয় ক্রীড়া সংগঠক পরিষদকে অনুরোধ করব কিসলুর ব্যাপারে কঠোর পদক্ষেপ নেয়ার জন্য।