মাথাভাঙ্গা মনিটর: আজ আন্তর্জাতিক নার্স দবস। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও নানা আয়োজনে দিবসটি পালিত হবে। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য নির্ধারিত হয়েছে ‘নার্স : ব্যয় সাশ্রয়ী কার্যকর সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে পরিবর্তনের এক সহায়ক শক্তি।’ এ উপলক্ষে চুয়াডাঙ্গা নার্সিং ইনস্টিটিউট ৱ্যালি ও আলোচনসভার আয়োজন করেছে। সকাল ৮টায় ৱ্যালি শেষে নাসিং ইনস্টিটিউটের সম্মেলন কক্ষে আলোচনাসভা শুরু হবে।
বাংলাদেশ নার্সেস এসোসিয়েশন (বিএনএ) ১৯৭৪ সাল থেকে বাংলাদেশে দিবসটি পালন করে আসছে। অতীতে ঢাকায় স্বল্প পরিসরে দিবসটি পালিত হলেও বর্তমানে সরকারি-বেসরকারি স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠান ও বিভিন্ন ইনস্টিটিউশনে দিবসটি উদযাপন করছে। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং ঢাকা নার্সিং কলেজের সঙ্গে সমন্বয় করে বাংলাদেশ নার্সেস এসোসিয়েশন (বিএনএ) সার্বিক সহযোগিতার দিবসটি পালনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। আধুনিক নার্সিংয়ের প্রবর্তক ফ্লোরেন্স নাইটিংগেলের সেবাকর্মের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তারই জন্মদিন ১২ মে আন্তর্জাতিক নার্স দিবস পালন করা হয়। দিবসটি উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে শোভাযাত্রা, আলোচনা সভা, সেমিনার, নার্স অ্যাওয়ার্ড ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। আজ বেলা ১১টায় বারডেম মিলনায়তনে ১০জন নার্সকে অ্যাওয়ার্ড প্রদান করবে ডায়াবেটিক সমিতি। সেবা অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক নিলুফার ফরহাদ বলেন, সারাদেশে নার্স ইনস্টিউটগুলোতে আন্তর্জাতিক নার্সেস ডে পালন করা হবে।
ফ্লোরেন্স নাইটিংগেল: ১৮২০ সালের ১২ মে ইতালির ফ্লোরেন্স শহরের এক সম্ভান্ত পরিবারে জন্ম নেন ফ্লোরেন্স নাইটিংগেল। শহরের নামের সাথে মিল রেখে পিতা তার নাম রাখেন ফ্লোরেন্স নাইটিংগেল। তবে নাইটিংগেলের শৈশব কেটেছে ইংল্যান্ডের ডার্বিশায়। ফ্লোরেন্স নাইটিংগেলের জন্মই যেন মানব কল্যাণের জন্য। তিনি চোখের ঘুম, মুখের খাবার রুগ্ন আসহায় মানুষের জন্য উত্সর্গ করেছিলেন। পৃথিবীর ইতিহাসে যতো মহীয়সী নারী রয়েছে তাদের মধ্যে অন্যতম ফ্লোরেন্স নাইটিংগেল। ধর্ণাঢ্য ব্যবসায়ী পিতার ইচ্ছে ছিলো উচ্চ শিক্ষার শিক্ষিত হয়ে বিশ্বখ্যাত সঙ্গীত শিল্পী হবেন তিনি। কিন্তু ফ্লোরেন্স নাইটিংগেলের সেবিকা হওয়ার ইচ্ছের কাছে হার মানেন বাবা। নাইটেংগেল মৃত্যুর আগ পর্যন্ত কাটিয়েছেন কঠিন দূরারোগ্য ব্যধিতে আক্রান্ত অসহায় মানুষের সেবায়। ২৯ বছর বয়সে প্যারিসের সেন্ট ভিনসেন্ট সোসাইটির দুজন সন্ন্যাসিনীর সঙ্গে পরিচয় হয় তার। সেটি ছিল ১৮৪৯ সালে কথা। আলেকজান্দ্রিয়ায় ওই সোসাইটির একটি হাসপাতাল ছিল, সেখানেই ফ্লোরেন্স নাইটিংগেলের সেবিকা হওয়ার ইচ্ছা জাগে।