বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষায় চুয়াডাঙ্গার রংধনুর শিক্ষার্থীদের মেধা বিস্ফোরণ

ইঞ্জিনিয়ারিঙে ২৭ ঢাবিতে ১৪ মেডিকেলে ৪সহ মোট ৬০ জন ভর্তি

 

স্টাফ রিপোর্টার: জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে ভর্তির মধ্যদিয়ে এবারের মতো সম্পন্ন হলো দেশের সরকারি সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম। গত বছরের অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত বিভিন্ন সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা নেয়া হয়। ভর্তি পরীক্ষার পর প্রথমে মেধাতালিকা থেকে ও পরে অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে আসন অনুপাতে শিক্ষার্থী ভর্তি কার্যক্রম গতপরশু সোমবার সম্পন্ন হয়।

মেধাতালিকা ও অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন হওয়ার পর চুয়াডাঙ্গার শিক্ষার্থীদের অবস্থান জানতে গিয়ে পাওয়া গেছে ঔজ্জ্বল্য চিত্র। এর মধ্যে আব্দুস সালাম পরিচালিত রংধনু গড়েছে অনন্য দৃষ্টান্ত। শিক্ষানুরাগী সচেতনমহলের অনেকেরই অভিমত, পিছিয়ে পড়া জেলায় দিনদিন যে শিক্ষার মান বৃদ্ধি পাচ্ছে, এবার দেশের সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তির হার বিশ্লেষণে ঘুরে ফিরে উঠে এসেছে ‘রংধনু’। রংধনুর শিক্ষার্থীদের মধ্যে ইঞ্জিনিয়ারিঙে ২৭ জন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৪ জন, মেডিকেলে ৪ জন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ৭ জন, ময়মনসিংহ কৃষিবিশ্ববিদ্যালয়ে ৩ জনসহ মোট ৬০ জন শিক্ষার্থী বিভিন্ন সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছে। যা বিগত দিনের সকল উদাহরণই অতিক্রম করেছে। ইঞ্জিনিয়ারিঙে যারা ভর্তি হয়েছে তাদের মধ্যে বুয়েটে ৩ জন, কুয়েটে ২ জন, রুয়েটে ১০ জন, চুয়েটে ২ জন, বুটেক্সে ১ জন এবং অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে ৯ জন। ব্যক্তিগত উদ্যোগে গড়ে তোলা দীর্ঘ ৩০ বছরের শিক্ষাদান কেন্দ্রটির স্বপ্নদ্রস্টা তথা পরিচালক আব্দুস সালাম যাকে সালাম স্যার বলেই চেনেন সকলে। তিনি তার এ কেন্দ্রের শিক্ষার্থীদের ক্রম মেধাবিকাশের রহস্য সম্পর্কে বলতে গিয়ে বলেছেন, শিক্ষার্থীদের মেধাবিকাশের প্রথম শর্ত অবশ্যই লেখাপড়ায় মনোনিবেশ করা। প্রতিযোগিতার পরিবেশ গড়ে তোলা। শিক্ষাগ্রহণে নিয়মিত হওয়া। চলনে বলনে শৃঙ্খলা মেনে চলা। শিক্ষকমণ্ডলীর প্রতি শিক্ষার্থীদের আন্তরিক করে তোলা। অভিভাবকদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা করা। এসবের মধ্যদিয়েই মূলত ‘রংধনু’র শিক্ষার্থীদের শিক্ষার মান বেড়েছে।

রংধনু পরিচালক আব্দুস সালাম বলেন, এবারের কৃতিত্বের সিংহভাগ দাবিদার সেসব শিক্ষার্থী যাদের শিক্ষাগ্রহণে আন্তরিকতা ছিলো অবিশ্বাস্য। কোনো কোনো শিক্ষার্থী ৫ বছরে একদিনও ব্যাচ কামাই দেয়নি। এসএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশের আগেই এরা উচ্চ মাধ্যমিকের লেখাপড়া অনেকটা এগিয়ে নেয়। একাদশ শ্রেণিতে থাকাকালেই ওরা দ্বাদশ শ্রেণির অর্ধেক সিলেবাস কভার করে ফেলে। কোম্বাইন্ড ব্যাচ তথা সন্ধ্যার পর সম্মিলিতভাবে বিশেষ তত্ত্বাবধানে যে অধ্যবসায় তাতে তাদের ভিত সত্যিই মজবুত হয়েছে বলেই দেশের নামি দামি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তিযুদ্ধে প্রত্যাশা পূরণে সহায়ক হয়েছে। এছাড়া ভর্তি পরীক্ষার পূর্বে ঢাকায় বিশেষ ব্যবস্থায় অভিভাবকদের তদারকিতে এবং আমার নিদের্শনায় ওদের যে প্রস্তুতি গ্রহণ ছিলো খুবই চমৎকার। একই সাথে বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া মেধাবীদের দিয়ে বিশেষ ক্লাস নেয়ার ব্যবস্থা ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের আত্মবিশ্বাস বহুলাংশে বাড়িয়ে দেয়। তা ছাড়া শিক্ষাদান কেন্দ্রের শিক্ষকমণ্ডলীর পাঠদানে আন্তরিকতার বিষয়টি তো আছেই।

বুয়েটে ভর্তি হয়েছে যেসব শিক্ষার্থী-

আলমডাঙ্গা মুন্সিগঞ্জের গড়চাপড়া গ্রামের মো. মিজানুর রহমান ও রুনা লায়লার ছেলে আব্দুল্লাহ আল মামুন কম্পিউটার সায়েন্স, মুন্সিগঞ্জের রংপুর গ্রামের মজনু এলাহী ও বিলকিস বানুর ছেলে সজীবুল ইসলাম সজীব ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং, চুয়াডাঙ্গা সদরের গুলশানপাড়ার মো. মোয়াজ্জেম হোসেন ও হাসিনুন্নাহারের ছেলে মুন্তাসির মুনেম প্রান্ত মেকানিকাল ইঞ্জিনিয়ারিং-এ ভর্তি হয়েছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছে যেসব শিক্ষার্থী- আলমডাঙ্গা মুন্সিগঞ্জ সোনাতনপুর গ্রামের শহীদুল ইসলাম ও চায়না খাতুনের ছেলে সানাউল্লাহ আশিক নিউক্লিয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং, দামুড়হুদা দশমীপাড়ার আব্দুল হাই বাচ্চু ও জাহানারা পারভীনের ছেলে কে এম মিনহাজুল আবেদীন কুয়াশা অ্যাপ্লাইড কেমিস্ট্রি, চুয়াডাঙ্গা সদরের সিনেমাহলপাড়ার বিশ্বনাথ কর্মকার ও প্রতিমা কর্মকারের মেয়ে অদিতি কর্মকার অ্যাপ্লাইড কেমিস্ট্রি , মুক্তিপাড়ার মো. সাইদুর রহমান ও মোছা. কামরুন নেছা মায়ার মেয়ে সুমাইয়া রহমান খাদ্য ও পুষ্টি, গোকুলখালী বাজারের ডা. মো. হায়বাত আলী বিশ্বাস ও মোছা. সাহেরা খাতুনের মেয়ে উম্মে সুমাইয়া লাবণী ডায়জেস্টার ম্যানেজমেন্ট, গোরস্তানপাড়ার সানোয়ার হোসেন জোয়ার্দ্দার ও সাহিদা হোসেন জোয়ার্দ্দারের ছেলে ইসতিয়াক বুলবুল পিয়াস জুয়োলজিতে ভর্তি হয়েছে। এছাড়াও সজীবুল ইসলাম, আব্দুল্লাহ আল মামুন, মুনতাসির মুনেম প্রান্ত, রকিবুল ইসলাম, আহনাফ আদীব অর্ক, কানিজ ফাতেমা বর্ণি, ফারহানা আফরিন লাম ও যারিন তাসনিম মৌ (এনভাইরনমেন্ট সয়েল অ্যান্ড ওয়াটার সায়েন্স) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির যোগ্যতা অর্জন করলেও বিষয় নির্বাচনকে প্রাধান্য দিয়ে তারা অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ে তাদের পছন্দের বিভাগে ভর্তি হয়েছে। অর্থাৎ ২০১৫ সালের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় মোট ১৪ জন শিক্ষার্থী ভর্তির যোগ্যতা অর্জন করেছে।

মেডিকেল কলেজে যারা ভর্তি হয়েছেচুয়াডাঙ্গা সদরের ঈদগাপাড়ার ডা. মো. তারিকুল আলম ও ডা. মোছা. হোসনা জারী তাহমিনা আঁখির ছেলে আহনাফ আদীব অর্ক ঢাকা মেডিকেল কলেজে, সিনেমাহলপাড়ার (বর্তমানে ৯নং লিচু বাগান রোড, ময়মনসিংহ সদর অবস্থানরত) মো. সোলায়মান ও মোছা. ফিরোজা ইয়াছমিনের ছেলে রকিবুল হাসান ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে, বাগানপাড়ার রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার ও নাসিমা বেগমের মেয়ে রায়সাতুজ জাহান লুবা খুলনা মেডিকেল কলেজে, পোস্টঅফিসপাড়ার আমিরুল ইসলাম ও রাশেদা আক্তারের মেয়ে কানিজ ফাতিমা বর্নি রংপুর মেডিকেল (ডেন্টাল) কলেজে ভর্তি হয়েছে।

কুয়েট, রুয়েট, চুয়েট ও বুটেক্স-এ ভর্তি হয়েছে যেসব শিক্ষার্থী- কুয়েটে চুয়াডাঙ্গা বেলগাছির আবু তালেব জোয়ার্দ্দার ও সাহার বানু বেগমের ছেলে কারিমুল জোয়ার্দ্দার মেকানিকাল ইঞ্জিনিয়ারিং, কোর্টপাড়ার মো. আজগার আলী ও মোছা. মাহমুদা খাতুনের ছেলে ওয়াসিফ মামুন রাফিদ সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং ভর্তি হয়েছে। রুয়েটে চুয়াডাঙ্গা সদরের রেলপাড়ার মনিরুদ্দিন জোয়ার্দ্দার ও রঞ্জু জোয়ার্দ্দারের ছেলে আনজুম জোয়ার্দ্দার উচ্ছাস কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং, কলেজপাড়ার রুহুল আমিন ও দিলারা পারভীনের ছেলে তানভীর মুকিত এবং মাস্টারপাড়ার মো. আব্দুর রহিম ও মোছা. শাহানাজ আক্তারের মেয়ে ফারহানা আফরিন লাম মেকানিকাল ইঞ্জিনিয়ারিং, হাসপাতালপাড়ার (বর্তমান কুষ্টিয়া কলেজ পাড়ায় অবস্থানরত) মো. কারিমুল ইসলাম ও মোছা. কহিনুর বেগমের ছেলে সানি মেরাজ জিহান এবং পুরাতন হাসপাতালপাড়ার মো. আব্দুস সালাম ও অনামিকা সুলতানার ছেলে আব্দুস সাইম ছোটন সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং, সিনেমাহলপাড়ার ডা. মো. কামরুদ্দিন ও ডা. মোছা. রোকেয়া খাতুনের মেয়ে জেসমিন নাহার জুঁই ইন্ডাস্ট্রিয়াল প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং, বড় বাজারপাড়ার এমদাদুল হক মালিক ও ইয়াসমিন আক্তারের ছেলে মো. এজাজুল হক মালিক সিয়াম এবং ঈদগাপাড়ার মো. সালাউদ্দিন জোয়ার্দ্দার ও দিলারা পারভীনের মেয়ে সাদিয়া আক্তার তিলা গ্লাস ও সিরামিকস ইঞ্জিনিয়ারিং, সিনেমাহলপাড়ার আতিকুর রহমান ও নাছরিন নাহারের মেয়ে আইরিন রহমান আভা এবং রেলপাড়ার মৃত হানিফ মল্লিক ও নারগিছ আরার মেয়ে রাশমিন ফারদিন সূচনা আর্কিটেকচার-এ ভর্তি হয়েছে। চুয়েটে চুয়াডাঙ্গা ডিঙ্গেদহ বাজারের মৃত. নূর আলী ও মোছা. আছমা বেগমের ছেলে মো. ওহিদ সজীব টিএনই বিভাগে, আলমডাঙ্গা মুন্সিগঞ্জ জেহালা বাজারের মো. জিল্লুর রহমান ও মোছা. রোকেয়া খাতুনের ছেলে সাইনুর রহমান রাহুল আর্বান অ্যান্ড রিজিওনাল প্ল্যানিং-এ ভর্তি হয়েছে। বুটেক্সে চুয়াডাঙ্গা দৌলাতদিয়াড়ের অ্যাড. মো. বেলাল হোসেন ও তাসফুন নাহারের ছেলে আবীর হাসান প্রিন্স অ্যাপ্রিল বুটেক্স-এ ভর্তি হয়েছে।

জাহাঙ্গীরনগর, সিলেট শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, ময়মনসিংহ কৃষি ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়- এ ভর্তি হয়েছে যেসব শিক্ষার্থী- জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে চুয়াডাঙ্গা কেদারগঞ্জপাড়ার মো. হারুন অর রশীদ ও মোছা. হোসনে আরা খাতুনের ছেলে আব্দুল্লাহ আল মাহবুব এবং থানাকাউন্সিলপাড়ার হাফিজুর রহমান ও নিলুফার বেগমের ছেলে ইমরান কবীর রোমেল কম্পিউটর সায়েন্স, শেখপাড়ার মামুদ একরাম জোয়ার্দ্দার ও সালমা খানমের মেয়ে যারিন তাসনিম মৌ ইনফরমেশন টেকনোলজি, মুক্তিপাড়ার মো. রমজান আলী ও জাহানারা বেগমের ছেলে এহসান ইমাম নাঈম সবুজ বি বি এ, হাসপাতালপাড়ার মো. মাহাবুবুর রহমান ও মোছা. মাহামুদা খাতুনের মেয়ে সাদিয়া জান্নাত মিষ্টি এবং ফার্মপাড়ার মো. শামসুল হক ও নার্গিস হকের মেয়ে নূরে সানজানা জান্নাত বোটানী এবং রেলপাড়ার মো. আব্দুল আলীম ও জান্নাতুল উম্মি কল্পনার মেয়ে তহমিনা আক্তার শর্মী আর্কিওলজিতে ভর্তি হয়েছে। সিলেট শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে সিনেমাহলপাড়ার ইমাম হোসেন ও হেলেনা পারভীনের ছেলে আজীমুল ইসলাম ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং ও টি টেকনোলজি ভর্তি হয়েছে। ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে সিঅ্যান্ডবিপাড়ার সিরাজুল ইসলাম ও জাহিদা সুলতানার মেয়ে ফাতেমা জান্নাত কেয়া ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং, কোর্টপাড়ার মো. হাফিজুর রহমান ও হাজেরা খাতুনের মেয়ে ফাতেমাতুজ জোহরা মিম এনিমেল হাজবেন্ডারী এবং পোস্টঅফিসপাড়ার এ এইচএম শাহীদুর রশীদ ও মোছা. পারুল পারভীনের ছেলে এ এইচ এম জুবাইদুর রশীদ রাজ এগ্রিকালচার ইঞ্জিনিয়ারিং-এ ভর্তি হয়েছে। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে রেলপাড়ার মৃত আমিরুল হক ও জান্নাতুল ফেরদৌসের মেয়ে জান্নাতুল সুমাইয়া রিত অ্যাপ্লাইড কেমিস্ট্রি, মল্লিকপাড়ার এম এ লতিফ কামাল ও রেহেনা পারভীনের মেয়ে উম্মে সুলাইম মৌ জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং- এ ভর্তি হয়েছে। এছাড়াও বড় বাজারপাড়ার রুহুল আমিন ও হাচিনা মমতাজের ছেলে আরিক এজাজ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির যোগ্যতা অর্জন করলেও বিষয় নির্বাচনে প্রাধান্য দিয়ে চিটাগাং টেক্সটাইলে ভর্তি হয়েছে।

অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ে যারা ভর্তি হয়েছে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে চুয়াডাঙ্গা সদরের হাসপাতালপাড়ার মো. আবুল কালাম আজাদ ও সালেহা খাতুনের মেয়ে মুনিজা আজাদ ঈপ্সিতা ফিশারিজ অ্যান্ড মেরিন সায়েন্স, কুলপালা গ্রামের ডা. আবুল কাসেম ও জরিনা খাতুনের ছেলে হুমায়ন কবীর শামীম এবং দক্ষিণ হাসপাতালপাড়ার মো. হুমায়ন কবীর ও উম্মে জুবায়দা কবীর শাপলার মেয়ে শাহেরী শবনম কবীর বৃষ্টি আর্কিটেকচার, গুলশানপাড়ার ইমামুল হক ও আসিয়া খাতুনের মেয়ে সুমাইয়া তাসনিম সয়েল সায়েন্স, একই মহল্লার মো. মাহফিজুর রহমান ও মুসলিমা রহমানের মেয়ে তাসনিয়া হাবীবা মিমু লাইফ সায়েন্স এবং বেলগাছির মো. শুকুর আলী ও মোছা. কহিনূর বেগমের ছেলে মো. তুহিন মিয়া ফিজিক্স-এ ভর্তি হয়েছে। এছাড়াও কোর্টপাড়ার মাসুম আহমেদ ও আফসানা ফেরেদৗসীর ছেলে আতিশ আ রাহবার খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির যোগ্যতা অর্জন করেছে। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে চুয়াডাঙ্গা বেলগাছির আবু কাউসার বিশ্বাস ও শামসুন নাহারের ছেলে মো. সায়হাম বিশ্বাস জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে মাইক্রোবায়োলজিতে, জাফরপুরের (বর্তমানে ভোলার কালাশুরা গ্রামে অবস্থানরত) ল্যান্সনায়েক ইব্রাহীম ও মোছা. মরিয়মের ছেলে ইমরান খান শরীরবিদ্যায় ভর্তি হয়েছে এবং গুলশানপাড়ার মো. মিজানুল হক ও মোছা. আম্বিয়া খাতুনের ছেলে আরাফাতুল হক প্রান্ত এনথ্রোপলজিতে ভর্তির যোগ্যতা অর্জন করেছে। হাজি দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালপাড়ার গোলাম মাহবুব ও শাহানাজ পারভীনের ছেলে মেহেদী হাসান শিহাব আর্কিটেকচার এবং বেলগাছির মো. ওহিদুল ইসলাম ও মোছা. রোকসানা ইসলামের ছেলে শাহরিয়ার ইকবাল সোহান এগ্রিকালচারাল ও বিজনেস-এ ভর্তি হয়েছে। চুয়াডাঙ্গা সদরের মুসলিমপাড়ার মো. আহসান আলী বিশ্বাস ও মোছা. রোকেয়া বেগমের ছেলে রেজওয়ানুল নাঈম হৃদয় বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির যোগ্যতা অর্জন করলেও বিষয় নির্বাচনকে প্রাধান্য দিয়ে ফরিদপুর ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং-এ ভর্তি হয়েছে। হাসপাতালপাড়ার মো. আব্দুস সালাম ও মোছা. জেসমিন আরা খাতুনের ছেলে শাহারিয়ার শাকিল জেসন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে ম্যাথ, মুক্তিপাড়ার মো. আতাউর রহমান ও হাসিনারা নার্গিসের মেয়ে মেহেনাজ আক্তার মিতু গোপালগঞ্জ কৃষি ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে অ্যাপ্লাইড ফিজিক্স অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং, সিনেমাহলপাড়ার আনোয়ারুল ইসলাম ও শাহানাজ পারভীনের মেয়ে তাসমিম তামান্না প্রমা সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে এগ্রিকালচারাল ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজিতে এবং বিষ্ণুপুর গ্রামের আনোয়ারুল হক ও আনোয়ারা বেগমের ছেলে সামিউল হক সজল গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিসারিজ-এ ভর্তি হয়েছে। এছাড়াও ফার্মপাড়ার মো. আব্দুল মান্নান ও মোছা. রেহেনা বেগমের ছেলে মো. মাহফুজুল আলম স্কলারশিপ পেয়ে স্টুডেন্ট ভিসায় উচ্চতর শিক্ষা অর্জনে জাপানে পড়াশোনা করছে।

উল্লেখ্য, এবার মোট ৬০ জন শিক্ষার্থী বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছে। এদের মধ্যে ১৩ জন শিক্ষার্থী যারা ১০ম শ্রেণি পর্যন্ত রংধনু শিক্ষাদান কেন্দ্রে পড়াশোনা করেছে তারা হলো- সজীব, মামুন, রকিবুল, বর্ণি, লুবা, রাফিদ, উচ্ছাস, জিহান, ছোটন, ওহিদ সজীব, রাহুল, মাহবুব ও রোমেল। বাকি ৪৭ জন শিক্ষার্থী রংধুনা শিক্ষাদান কেন্দ্রে উচ্চমাধ্যমিক পর্যন্ত পড়াশোনা করেছে।

Leave a comment