স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গার কাথুলী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের স্বেচ্ছাচারিতা ও অনিয়ম চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে। তার অত্যাচার ও খামখেয়ালিপনায় অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন শিক্ষক-কর্মচারীরা। ক্ষুব্ধ শিক্ষক-কর্মচারীরা পরিত্রাণ পাওয়ার জন্য অভিযোগ করেছেন বিদ্যালয়ের সভাপতির কাছে।
অভিযোগসূত্রে জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার কাথুলী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নাহারুল ইসলাম দীর্ঘদিন ধরে স্কুলে খেয়ালখুশি মতো আসা-যাওয়া করেন। মাঝে মাঝে টানা দু-পাঁচ দিন পর হাজিরা খাতায় সই করেন। ভুয়া বিল ভাউচার করে বিদ্যালয়ের টাকা তছরুপ করেন। অথচ অন্য শিক্ষক-কর্মচারীর পাওনা টাকাও তিনি দিতে চান না। আজ-কাল করে ঘোরাতে থাকেন। পান থেকে চুন খসার মতো কোনো ঘটনা ঘটলে বা সামান্য ত্রুটি হলেই আর রক্ষে নেই। তাকে শোকজ করে জবাব চাওয়া হয়। কোনো কোনো সময় শিক্ষক-কর্মচারীকে তিনি কটূক্তি করেন। কোনো কোনোদিন বেফাঁস কথা-বার্তা বলেন। মানসিকভাবে হেনস্থও করেন তিনি। গতকাল মঙ্গলবার এ নিয়ে স্কুলে শিক্ষক-কর্মচারীদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। তারা প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ফুঁসে ওঠেন। অভিযোগকারী কয়েকজন শিক্ষক-কর্মচারী অভিযোগ করেন বিদ্যালয়ের সভাপতি রমজান আলীর কাছে। রমজান আলী গতকাল নিজে স্কুলে উপস্থিত হয়ে শিক্ষক-কর্মচারীদের শান্ত করেন এবং ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আশ্বাস দেন।
এ বিষয়ে গতকাল সন্ধ্যায় বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি রমজান আলী মাথাভাঙ্গাকে বলেন ইতঃপূর্বেও প্রধান শিক্ষক নাহারুল ইসলামকে সতর্ক করে দেয়া হয়েছিলো। তারপরেও তিনি যদি সহকারী শিক্ষকদের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন তাহলে কমিটির মিটিঙে তার বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। তাছাড়া বিদ্যালয়ের টাকা-পয়সা খরচের জন্য ৩ সদস্য বিশিষ্ট শিক্ষকদের একটি কমিটি আছে। প্রধান শিক্ষকের বিলভাউচারে তারা সই না করলে আমিও করবো না।
এ ব্যাপারে প্রধান শিক্ষক নাহারুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি সব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, পয়লা বোশেখে শিক্ষক-কর্মচারীদের টাকা দেয়া হয়নি বলে তারা আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করেছেন। আমার কোনো অপরাধ হলে কমিটির কাছে কৈফিয়ত দেবো। তাদের কী!