ইবি প্রতিনিধি: কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক কোয়ার্টারে বিষধর সাপ আতঙ্ক বিরাজ করছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৮টার দিকে শিক্ষক কোয়ার্টারে একটি বিষধর গোখরা সাপ পাওয়া গেছে। পরে কোয়ার্টারের কমকর্তা-কর্মচারীদের সহযোগিতায় সাপটিকে পিটিয়ে মেরে ফেলা হয়।
শিক্ষক কোয়ার্টারের একাধিক শিক্ষক সমকালকে জানান, গত বুধবার মধ্যরাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের আবাসিক এলাকার মেঘনা বিল্ডিঙের পেছনে একটি বিষধর গোখরা সাপ কারেন্ট জালে আটকা পড়ে। সকালে রাষ্ট্রনীতি ও লোকপ্রশাসন বিভাগের শিক্ষক মো. ফখরুল ইসলাম সাপের নড়াচড়ার শব্দ পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে বিষধর একটি গোখরা সাপ দেখতে পান। তিনি বিষয়টি কোয়ার্টারের অন্য শিক্ষকদের জানালে তারা কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সহযোগিতায় সাপটি মেরে ফেলার ব্যবস্থা করে। সাপটি প্রায় পাঁচ হাত লম্বা বলে জানা গেছে। রাষ্ট্রনীতি ও লোক প্রশাসন বিভাগের শিক্ষক মো. ফখরুল ইসলাম বলেন, সাপের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে আমরা মেঘনা বিল্ডিঙের পেছনের দিকে কারেন্ট জাল পেতে দিই। সকালে সাপের ফোঁস ফোঁস করা শব্দ পেয়ে বিল্ডিঙের পেছনে গিয়ে বিষধর সাপটিকে দেখে আঁতকে উঠি। তিনি বলেন, এর আগেও চার চলার ওই বিল্ডিংটির বিভিন্ন ফ্লোরে সাপ মারা হয়েছিলো। কয়েক দিন আগে আমার রুমের ভেতর থেকে বিষধর একটি সাপ মেরেছিলাম। আবাসিক এলাকার প্রত্যেকটি ভবনেই এরকম বিষধর সাপের উপদ্রব রয়েছে বলে তিনি জানান।
এদিকে বিষধর এসব সাপের উপদ্রবে আবাসিক এলাকাগুলোতে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে। যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন আবাসিক শিক্ষক-কর্মকর্তারা। আবাসিক এলাকার বিভিন্ন স্থানে ঝোঁপঝাড়ে পূর্ণ হয়ে যাওয়ায় সাপের উপদ্রব মাত্রাতিরিক্ত বেড়েছে।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. আবদুল হাকিম সরকার বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার দেখভালের দায়িত্বে রয়েছে এস্টেট শাখা। আবাসিক এলাকাসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের সেসব জায়গায় ঝোপঝাঁড় রয়েছে তা পরিষ্কার রাখার জন্য সংশ্লিষ্ট অফিসকে নির্দেশ দেয়া আছে। যেহেতু এটার সাথে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিরাপত্তার বিয়য়টি জড়িত আছে তাই বিষয়টি গুরুত্বের সাথে দেখা হবে।