মুমিনুল এবার টেন্ডুলকারের পাশে

স্টাফ রিপোর্টার: নিজের খর্বাকৃতি নিয়ে নিজেও মাঝে মাঝে রসিকতা করেন। তখন কেউ না কেউ পাল্টা শুনিয়ে দেয়- ডন ব্র্যাডম্যান, হানিফ মোহাম্মদ থেকে শচীন টেন্ডুলকারও খর্বাকৃতি ছিলেন; তাকে লিটল মাস্টার বলা হয়। তিনি তখন পাল্টা হেসে বলেন, আকারেই কী আর ব্র্যাডম্যান হওয়া যায়! তা যায় না। ব্র্যাডম্যান, হানিফ বা টেন্ডুলকার হতে যুগ যুগ সাধনা লাগে। তবে মুমিনুল হক ছোট ছোট রেকর্ডে ইতোমধ্যে এইসব কিংবদন্তীর পাশে নাম লেখাতে শুরু করেছেন। টেস্টে ক্রিকেটে বাংলাদেশের ইতিহাসের সফলতম এ ব্যাটসম্যান সম্পর্কে কদিন আগেও লেখা হয়েছে- ব্র্যাডম্যানের পরই মুমিনুল। সে রেকর্ড এখনও ধরে রেখেছেন কক্সবাজারের এ তরুণ। এবার যে রেকর্ডে ভাগ বসাচ্ছেন, তাতে লিখতে হচ্ছে- টেন্ডুলকারের পাশে মুমিনুল!

‘ব্র্যাডম্যানের পর মুমিনুল’ এটার ব্যাখ্যা ছিলো ব্যাটিং গড়ে। স্যার ডন ব্র্যাডম্যান ৫২ টেস্টের ক্যারিয়ারে ৯৯.৯৪’র অলৌকিক এক ব্যাটিং গড়ে ব্যাট চালিয়ে গেছেন। ঘটনা হলো, ১০ টেস্ট খেলে ফেলেছেন, এ রকম ব্যাটসম্যানদের মধ্যে ব্র্যাডম্যানের পর ও মুমিনুল হকের আগে আর কেউ নেই! এই খুলনা টেস্টের প্রথম ইনিংস চলা অবস্থায়, এখন পর্যন্ত ১৩ টেস্টে মুমিনুলের ব্যাটিং গড় ৬৩.৯০! গতকাল মঙ্গলবার একেবারে দুর্ভাগ্যজনকভাবে দিনের খেলার আর মাত্র একটা বল বাকি থাকতে আউট হয়ে গেলেন বাংলাদেশের এ লিটল মাস্টার। তার আগেই অবশ্য অলস সৌন্দর্য ছড়ানো এক অসামান্য ৮০ রানের ইনিংস খেলে গেলেন। ১৬২ বলে তুলির আচড়ের মতো ৮টি চারে সাজানো ইনিংস শেষ হলো এলবিডব্লু সিদ্ধান্তে।

তবে এবার মুমিনুল আলোচনায় এলেন টানা দশ টেস্টে কোনো না কোনো ইনিংস পঞ্চাশোর্ধ্ব ইনিংস খেলে। এ বিষয়ক রেকর্ডটা নিজের হাতে রেখেছেন এখনও টানা ১২ টেস্টে পঞ্চাশোর্ধ্ব ইনিংস খেলা এবি ডি ভিলিয়ার্স। গতকাল মঙ্গলবার মুমিনুল করলেন তার দশম টেস্টের প্রথম ইনিংসেই ফিফটি। ফলে তিনি সাঙ্গাকারাদের ছাপিয়ে এবার চলে এলেন টেন্ডুলকারের পাশে। টানা দশ টেস্টে পঞ্চাশোর্ধ্ব ইনিংস আছে আর জন এডরিচের। এছাড়া ১১ টেস্টে এ কাজ করার রেকর্ড আছে ভিভ রিচার্ডস, গৌতম গম্ভীর ও বীরেন্দর শেবাগের। মানে মুমিনুলকে এ রেকর্ডে এক নম্বর হতে গেলে আর তিনটি টেস্টে ধারাটা ধরে রাখতে হবে। সর্বশেষ দশ টেস্টে মুমিনুল: ১৮১, ২২*নিউজিল্যান্ড, ৪৭, ১২৬* নিউজিল্যান্ড, ৮, ৫০ শ্রীলঙ্কা, ১৩, ১০০* শ্রীলঙ্কা, ৫১, ১২ ওয়েস্ট ইন্ডিজ, ৩, ৫৬ ওয়েস্ট ইন্ডিজ, ৫৩, ০ জিম্বাবুয়ে, ৩৫, ৫৪        জিম্বাবুয়ে, ৪৮, ১৩১* জিম্বাবুয়ে ও ৮০ পাকিস্তান ।