দাফনের সাড়ে ৬ মাস পর কবর থেকে আনন্দের লাশ উত্তোলন

জীবননগর গয়েশপুর সীমান্তের ভারত অভ্যন্তরে শসাক্ষেতে বৈদ্যুতিক ফাঁদে পড়ে বিপত্তি

 

জীবননগর ব্যুরো: চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার গোয়ালপাড়া সীমান্তে ভারতীয় কৃষকের শসাক্ষেতে পেতে রাখা বৈদ্যুতিক ফাঁদে পড়ে নিহত দু মাদকব্যাবসায়ীর মধ্যে একজনের লাশ সাড়ে ৬ মাস পর কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে। আদালতের আদেশে গতকাল সোমবার প্রথম শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেট জীবননগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার নূরুল হাফিজের উপস্থিতিতে আনন্দের (১৮) লাশ কবর থেকে উত্তোলন করা হয়।

জানা যায়, গত বছরের ১৪ অক্টোবর গয়েশপুর গ্রামের চি‎হ্নিত মাদকব্যবসায়ী আলী বক্সের ছেলে সুজা ও আব্দুল মান্নানের ছেলে আনন্দ ফেনসিডিল আনার জন্য রাতে ভারতে যায়। রাত ৩টার দিকে সীমান্তের ৬৭/২ মেন পিলারের নিকট দিয়ে যাওয়াকালে ভারতের কুলাপাড়া গ্রামের কৃষক আব্বাছ আলী ক্ষীরাক্ষেতে শিয়াল মারার জন্য পাতা বৈদ্যুতিক ফাঁদ পড়ে তাদের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়। এ ঘটনার ১ মাস পর গত ৪ ডিসেম্বর নিহত আনন্দের মা ফাহিমা খাতুন বাদী হয়ে চুয়াডাঙ্গা আদালতে আনন্দের শ্বশুর আনোয়ার হোসেন ও শ্যালক আশাদুলের নামে হত্যামামলা দায়ের করেন। ফাহিমা খাতুনের অভিযোগ আনন্দকে পরিকল্পিতভাবে তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন হত্যা করেছে। এ মামলার পরিপ্রেক্ষিতে আদালত নিহতের লাশ উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের আদেশ প্রদান করেন। এদিকে আনন্দরে শ্বশুরবাড়ির লোকজনের অভিযোগ তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।