যশোর প্রতিনিধি: যশোর কালেক্টরেট পার্কে চাঁদের হাটের বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে অপ্রীতিকর ঘটনার অভিযোগে অভিযুক্ত পুলিশ কনস্টেবল কামাল হোসেনের (নং ১২৬১) বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ এবং কীবোর্ড বাদক সুজন রায়কে সাংস্কৃতিক অঙ্গনে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবী সংগঠনসমূহ। সোমবার পৃথক দুটি স্মারকলিপি জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের কাছে প্রদান করা হয়।
স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, বর্ষবরণের অনুষ্ঠান নির্বিঘ্নে চলার সময় মদ্যপ অবস্থায় কনস্টেবল কামাল নারী-শিশু ও শিল্পীদের জন্য সংরক্ষিত বলয়ে প্রবেশের চেষ্টা চালান। এতে প্রথমে বর্ষবরণ কমিটির আহ্বায়ক হিমাদ্রী সাহা এবং পরে চাঁদের হাট ও জেলা জাসদের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা রবিউল আলম তাকে নিবৃত করার চেষ্টা করেন। এতে অনাহুত ওই ব্যক্তি প্রথমে নিজেকে পুলিশ সদস্য এবং পরে মিউজিশিয়ানদের অতিথি বলে পরিচয় দেন। কিন্তু ভিতরে ঢুকতে না পেরে তিনি বীর মুক্তিযোদ্ধা রবিউল আলমের সাথে চরম দুর্ব্যবহার করেন এবং অনুষ্ঠান পন্ড করার ঘোষণা দেন। এর জের ধরে কীবোর্ড বাদক সুজন রায় দলবলসহ অনুষ্ঠান মঞ্চ ত্যাগ করেন।
স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, এই ঘটনা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পরিপন্থী এবং সাংস্কৃতিক অগ্রযাত্রায় সমূলে সরাসরি আঘাত। অনভিপ্রেত এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে ওই পুলিশ কনস্টেবলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি করা হয়। অপর স্মারকলিপিতে অনভিপ্রেত আচরণের জন্য যশোরের মূলধারার সাংস্কৃতিক সংগঠনসমূহ সুজন রায়কে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে এবং এসব সংগঠনের অনুষ্ঠানে তাকে কীবোর্ড বাজাতে দেয়া হবে না বলে ঘোষণা করা হয়। একই সাথে জেলা ও পুলিশ প্রশাসনের অনুষ্ঠানে তার উপস্থিতিতে এসব সংগঠনের শিল্পীরা অংশ নেবেন না বলে উল্লেখ করা হয়।
যশোরের জেলা প্রশাসকের পক্ষে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সাবিনা ইয়াসমীন এবং পুলিশ সপার আনিসুর রহমান স্মারকলিপি গ্রহণ করেন। এ সময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কেএম আরিফুল হক ও ফয়েজ আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।