স্টাফ রিপোর্টার: ঝিনাইদহের ওপর দিয়ে প্রবাহিত কুমার নদের পানি দূষিত হয়ে মাছ ও জলজ প্রাণী মারা যাচ্ছে। নদী তীরবর্তী গ্রামের নারি, পুরুষ ও শিশুরা জাল ও হাত দিয়ে ভেসে ওঠা মাছ ধরছে। কুমার নদ চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার মাথাভাঙ্গা নদী থেকে উত্পত্তি হয়ে ঝিনাইদহ ও মাগুরা জেলার ওপর দিয়ে মধুমতি নদীতে মিশেছে। গড়াই নদী থেকে কুষ্টিয়া শহরের ভাটি হতে কালী ও ডাকুয়া নদী থেকে প্রবাহ পেতো কুমার।
১৯৬০ সালের দিকে জিকে প্রকল্প বাস্তবায়নকালে কালী ও ডাকুয়া নদীর উত্স মুখে বাঁধ দেয়া হয়। ফলে কালী, ডাকুয়া ও কুমার নদী মরে যায়। তারপর মরে যাওয়া কুমার নদীতে বিলুপ্ত প্রায় বিভিন্ন প্রজাতির ছোট মাছের অভয়াশ্রম গড়ে ওঠে। সম্প্র্রতি কুমার নদীর পানি দূষণ শুরু হয়।
উজানে হরিণাকুণ্ডু উপজেলার চরপাড়া থেকে শুরু করে ভাটিতে শৈলকুপা উপজেলার আলফাপুর পর্যন্ত প্রায় ৩০ কিলোমিটার নদীর পানির রং কালো হয়ে গেছে। ফলে টেংরা, পুঁটি, বিভিন্ন প্রজাতির চিংড়ি, ফলিসহ ছোট মাছ ভেসে নদীর কূলে চলে আসছে। শ শ মানুষ এ মাছ ধরছে। মাছ মারাও যাচ্ছে। কোনো কোনো জায়গায় পানি দুর্গন্ধ।
জেলা মত্স্য কর্মকর্তা শঙ্করচন্দ্র হাওলাদার বলেন, অক্সিজেনের অভাব দেখা দেয়ায় পানির এ অবস্থা হয়েছে। তাই মাছ ভেসে উঠছে ও মারা যাচ্ছে। ধারণা করা যাচ্ছে উজান থেকে কারখানার বিষাক্ত বর্জ্য নদীর পানিতে এসে মেশায় এ দূষণ ঘটেছে।