বাবলুর সহযোগী শাহীন ও মজনুর বাড়িও মহাজনপুর
স্টাফ রিপোর্টার: ডাকাতির সময় হাতেনাতে বাবলু নামের একজনকে হানুরবাড়াড়ির জনগণ ধরে দিলেও পুলিশ তার অপর সহযোগীদের একজনকেও গত ৫ দিনে ধরতে পারেনি। তবে পুলিশ ইতোমধ্যেই নিশ্চিত হয়েছে, বাবলু তার যে দু সহযোগীর নাম বলেছিলো সে দুজন মজনু ও শাহীনের বাড়ি কালীগঞ্জ বা যশোরে নয়। ওদের বাড়িও বাবলুর নিজ গ্রাম মেহেরপুর মুজিবনগরের মহাজনপুরে। পুলিশসূত্র এ তথ্য জানিয়ে বলেছে, বাবলুকে হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন রাখা হয়েছে। অসুস্থতার কারণে ভালোভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা সম্ভব হয়নি।
গত ১৫ এপ্রিল রাত আড়াইটার দিকে ৭ জনের একদল ডাকাত চুয়াডাঙ্গা জেলা সদরের হানুরবাড়াদি গ্রামের আবু তালেব মালিতার বাড়িতে হানা দেয়। তাকে ও তার স্ত্রীকে জিম্মি করে ডাকাতি শুরু করে। ছেলে জাহিদ হাসানকে জিম্মি করতে গেলে ডাকাতদল প্রতিরোধের মুখে পড়ে। ধস্তধস্তির এক পর্যায়ে প্রতিবেশীর সহযোযগিতায় বাবলু নামের একজন ধরা পড়লেও তিনটি বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে পালিয়ে যায় তার সহযোগীরা। গণপিটুনির পর পুলিশে দেয়া হয় বাবলুকে। সে পরিচয় দিতে গিয়ে বলে, তার বাড়ি মেহেরপুর মুজিবননগরের মহাজনপুর ঘরামীপাড়ায়। পিতার নাম ছুন্নত আলী। তার সহযোগীদের মধ্যে মজনু আর শাহীন ছাড়া অন্যদের চেনে না বলে জানালেও ঠিকানা দেয় বিভ্রান্তমূলক। পরে অবশ্য পুলিশ জানিয়েছে, ওই দুজনের বাড়িও বাবলুর গ্রামেই।
ডাকাতির শিকার পরিবারের গৃহকর্তা আবু তালেব মালিতা বাদী হয়ে মামলা করেছেন। তার পরিবারের তরফে জানানো হয়, তাদের ঘরের ভেতরে ধানের হাড়ার মধ্যে রাখা ৭ লাখ ৮৫ হাজার টাকা ডাকাতি করেছে ডাকাতদল। সেই টাকা উদ্ধার দূরাস্ত, ডাকাতদলের আর কোনো সদস্যকেই পুলিশ ধরতে পারেনি। অনেকেরই ধারণা, যেহেতু ওইদিনই টাকা বাজার থেকে বাড়ি রাখার বিষয়টি ডাকাতদল পূর্ব থেকেই জানতো, সেহেতু হানুরবাড়াড়ি বা আশাপাশের তেমন কেউ ওই ডাকাতদলের সাথে জড়িত। পুলিশও অবশ্য এ সন্দেহ উড়িয়ে দিচ্ছে না। অনুসন্ধান অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সদর থানার এসআই মোস্তাফিজুর রহমান। অপরদিকে ডাকাতদলের ছুরিকাঘাতে আহত জাহিদ হাসান গত শুক্রবার বাড়ি ফিরেছেন। পুলিশ প্রহরায় বাবলুকে সদর হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন রাখা হয়েছে। তার পাশে রয়েছেন দ্বিতীয় স্ত্রী মেহেদী। তিনি বলেছেন, আমার স্বামীর অবস্থা ভালো না।