হাসেম রেজা: দামুড়হুদা উপজেলার কুড়ুলগাছি ইউনিয়নের ঠাকুরপুর গ্রামের বাজারপাড়ার নুর মহাম্মদ গুলদার ও আলেয়া খাতুনের ৬ ছেলেমেয়ের মধ্যে জহুরা ৫ম সন্তান। শিশু জহুরা ছোটবেলা থেকেই শান্ত হওয়ায় বাবা-মাসহ গ্রামের মানুষের কাছে প্রিয় হয়ে ওঠেন। তিন মাস বয়সে জহুরা পোলিও আক্রান্ত হন। সকলে ব্যস্ত হয়ে পড়েন চিকিৎসার জন্য। অভাবের সংসারে বাড়তি বোঝা হয়ে দাঁড়ান জহুরা। জহুরা দু পা হারিয়ে পঙ্গুত্বের অভিশাপ নিয়ে শুরু করে তার সংগ্রামী এক নতুন জীবন। জহুরার পড়াশোনার করার অদম্য ইচ্ছা-শক্তি থাকলেও প্রতিবন্ধীর কারণে বিদ্যালয়ে গিয়ে লেখাপড়া করার সম্ভব হয়ে ওঠেনি। বর্তমানে বিশ বছরে পদার্পণ করেছেন জহুরা। জীবনের সাথে অনেক লড়াই সংগ্রাম করে ভাগ্যে জুটেছে একটি প্রতিবন্ধী ভাতা কার্ড। জহুরা দীর্ঘ ৪ বছর প্রতিবন্ধীদের একটি প্রকল্পে দর্জির কাজ শেখেন। হাত সেলাই মেশিনের অভাবে করতে পারছেন না দর্জির কাজ। জহুরা আমাদের এ প্রতিবেদককে তার জীবনকাহিনি বলতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন। তার শুধু একটি চাওয়া কেঊ যদি তার সাহায্যে একটি হাত সেলাইমেশিন কিনে দিতেন তাহলে আমার কষ্ট অনেকটাই লাঘব হতো। অসহায়ের মতো কারো করুণার পাত্র হয়ে থাকতে হতো না।