জামায়াতের ডাকে আজ সারাদেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল
স্টাফ রিপোর্টার: মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত জামায়াত নেতা মুহাম্মদ কামারুজ্জামানকে যেখানে কবর দেয়া হয়েছে সেই শেরপুরের কুমরি বাজিতখিলা গ্রাম থেকে অতিরিক্ত পুলিশ প্রহরা তুলে নেয়ার পর আশপাশের গ্রামগুলো থেকে বহু মানুষকে সেখানে ভিড় করতে দেখা গেছে। এদিকে চুয়াডাঙ্গাসহ বিভিন্ন স্থানে জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে গতকাল গায়েবানা জানাজার আয়োজন করা হয় বলে প্রেসবিজ্ঞপ্তিত জানানো হয়েছে। জামায়াতের ডাকে আজ সোমবার সারাদেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল।
গত শনিবার রাতে মৃত্যদণ্ড কার্যকরের পর কামারুজ্জামানের মৃতদেহ শেরপুরের গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয় এবং কড়া পুলিশ প্রহরার মধ্যে আত্মীয়স্বজন ও কিছু প্রতিবেশীর উপস্থিতিতে গতকাল রোববার ভোরবেলা তার দাফন সম্পন্ন করা হয়। ভোররাতে কামারাজ্জামানকে বহনকারী অ্যাম্বুলেন্স যখন শেরপুর সদর উপজেলার কুমরি বাজিতখিলা গ্রামে পৌঁছায় তখন তার বাড়িকে ঘিরে রেখেছিলেন পুলিশ, ৱ্যাব, বিজিবি ও আর্মড পুলিশের সদস্য। কাউকেই আশেপাশে ভিড়তে দেয়া হচ্ছিলো না। নামাজে জানাজায় অংশ নিতে পারে জনা পঞ্চাশেক মানুষ, এদের অধিকাংশই ছিলেন কামারুজ্জামানের স্বজন, বাকিরা প্রতিবেশী। সকাল সাতটার পর পুলিশ বিধি-নিষেধ কিছুটা শিথিল করলে সেখানে সাংবাদিকেরা এবং স্থানীয় মানুষজন প্রবেশাধিকার পান। জামায়াত বা শিবিরের দলীয় কোনো কর্মসূচি এ গ্রামে কিংবা শেরপুরে চোখে পড়েনি, স্থানীয়ভাবে তাদের তরফ থেকে কোনো প্রতিক্রিয়াও আসেনি বলে উল্লেখ করেন সাংবাদিকরা। তবে জামায়াতে ইসলামীর ওয়েবসাইট থেকে জানা যায়, রোববার দিনটিতে তারা দেশ জুড়ে দোয়া অনুষ্ঠানের কর্মসূচি পালন করছে এবং আজ সোমবার হরতাল পারন করবে। মোহাম্মদ কামারুজ্জামানের মৃত্যুতে দেশে এবং বিদেশের বিভিন্ন স্থানে গতকাল রোববার গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে বলেও জামায়াত ও শিবিরের তরফে জানানো হয়েছে। তবে এর আগে ২০১৩ সালের শেষভাগে আরেক জামায়াত নেতা আব্দুল কাদের মোল্লার ফাঁসি কার্যকর হওয়ার পর পর যেভাবে বাংলাদেশে সহিংস প্রতিক্রিয়া হয়েছিলো, গতকাল তা পরিলক্ষিত হয়নি।
এদিকে গতকাল চুয়াডাঙ্গা জেলা জামায়াতে ইসলামী এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, গতকাল রোববার বিকেলে চুয়াডাঙ্গায় বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামী কেন্দ্রের ঘোষণা অনুযায়ী জেলা জামায়াতের উদ্যোগে জামায়াত নেতা শহীদ মুহাম্মদ কামারুজ্জমানের গায়েবানা জানাজা চুয়াডাঙ্গা, আলমডাঙ্গা, দামুড়হুদা, দর্শনা, জীবননগরসহ বিভিন্ন স্থানে অনুষ্ঠিত হয়। জানাজা নামাজের পূর্বে কামারুজ্জমান সম্পর্কে বক্তব্য রাখেন চুয়াডাঙ্গা জেলা জামায়াতের আমির আনোয়ারুল হক মালিক ও নায়েবে আমির দামুড়হুদা উপজেলা চেয়ারম্যান মাও. মো. আজিজুর রহমান, জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মো. রুহুল আমিন, অ্যাড. আসাদুজ্জামান, দর্শনা পৌর আমির দামুড়হুদা উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল কাদের, দামুড়হুদা থানা আমির নায়েব আলী, জীবননগরের থানা আমির অধ্যাপক খলিলুর রহমান, আলমডাঙ্গা থানা আমির নুর মোহম্মদ টিপু। ছবিযুক্ত প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হলেও স্থানের কথা উল্লেখ করা হয়নি।