স্টাফ রিপোর্টার: যশোরের বেনাপোল সীমান্তে বিএসএফ’র গুলিতে দু বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। গতকাল শনিবার ভোররাতে বেনাপোলের দৌলতপুর সীমান্তে এ ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন বেনাপোলের পুটখালী গ্রামের হানিফ আলীর ছেলে শান্ত (৪৫) এবং একই গ্রামের আনিছুর রহমানের ছেলে অকু (২৯)। তারা ভারতে গরু আনতে গিয়েছিলেন বলে স্থানীয় সূত্র নিশ্চিত করেছে।
এলাকাবাসীর সূত্র মতে, পুটখালী এলাকার আকু ও শান্তসহ একদল চোরাচালানী গত শুক্রবার গভীর রাতে বাংলাদেশের ওপারে ভারতের আংরাইল এলাকায় গরু আনতে যান। গতকাল শনিবার ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে গরু নিয়ে ফেরার পথে বিএসএফ তাদের লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করে। এতে আকু ও শান্ত গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান। পরে তাদের মৃতদেহ অপর সঙ্গীরা উদ্ধার করে নিয়ে আসে।
যশোর ২৬ বিজিবির কমান্ডিং অফিসার লে. কর্নেল জাহাঙ্গীর হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, বিএসএফ’র গুলিতে দু বাংলাদেশি মারা গেছেন। একজনের লাশ বেনাপোল পোর্ট থানায় এবং অপরজনের লাশ আত্মীয়রা পুটখালীর বাড়িতে নিয়ে গেছেন। ওই লাশটিও থানায় আনা হবে।
তিনি আরো বলেন, এটা ২৩ বিজিবির মধ্যেকার ঘটনা বলে ওরা দেখছে। খুলনা ২৩ বিজিবির কমান্ডিং অফিসার লে. কর্নেল আব্দুর রহিম জানান, লাশ যেখানে পাওয়া গেছে সেটা ২৬ বিজিবির এলাকা। তবে যে এলাকাতেই হোক না কেন, এর অফিসিয়াল কার্যক্রম বিজিবির দায়িত্ব। আমরা আজই (শনিবার) দৌলতপুরের জিরো লাইনে বিএসএফ’র সাথে পতাকা বৈঠক করবো এবং অফিসিয়ালি প্রটেস্ট নোট দেবো। এলাকার জনগণকে উদ্বুদ্ধ করবো গরু না আনতে যাওয়ার জন্য।
বেনাপোল পোর্ট থানার ওসি অপূর্ব হাসান জানান, শান্তর লাশ থানায় আমাদের হেফাজতে রয়েছে। অকুর লাশ খুঁজতে বেরিয়েছি আমরা। পাওয়ার পর ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হবে। বিএসএফ’র হাতে বাংলাদেশি নাগরিক হত্যার বিষয়ে দেশটির কাছে উদ্বিগ্নতা প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ। এমনটি জানিয়েছেন পররাষ্ট্র সচিব শহিদুল হক।
গতকাল শনিবার বিকেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। দু দেশের পক্ষ থেকে সীমান্তে হত্যা শূন্যতে নামিয়ে আনার বিষয়ে একমত হওয়া গেলেও ভারতীয় সীমান্তরক্ষীদের হাতে বাংলাদেশি হত্যার ঘটনা ঘটেই চলেছে।