কুষ্টিয়াসহ পার্শ্ববর্তী এলাকায় ঝড়সহ ব্যাপক শিলাবৃষ্টি : তিনজনের মৃত্যু

বড় বড় শিলাসহ অনেক স্থানেই বরফের পাটাতন পড়ে থাকতে দেখে চমকে ওঠে এলাকাবাসী

 

স্টাফ রিপোর্টার: অতো বড় বড় শিলা স্মরণকালে পড়তে দেখেনি কুষ্টিয়া অঞ্চলের মানুষ। পরশু ভোরে কালবোশেখি ঝড়, শিলাবৃষ্টির পর বেশ কিছু স্থানে বরফের আবরণ পড়ে যায়। সকাল পর্যন্ত বরফের স্তূপের ওপর হাঁটতে হয়েছে সংশ্লিষ্ট এলাকার মানুষের। ঝড়ের প্রভাব চুয়াডাঙ্গা আলমডাঙ্গারও কিছু এলাকায় পড়েছে। ঝড়ে ও বজ্রপাতে দু নারীসহ তিনজনের মৃত্যু খবর পাওয়া গেছে।

ead044702e0df623011dfceb92d7ce2b-kushtia-strom-2

জানা গেছে, দেশের পশ্চিম ও দক্ষিণাঞ্চলে কয়েকটি উপজেলায় গতপরশু রোববার রাত থেকে ভোরে ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। কুষ্টিয়ার মিরপুর ও খোকসা উপজেলা, ঝিনাইদহের শৈলকুপা এবং ঝালকাঠি জেলার রাজাপুর উপজেলায় ঘরবাড়ি, গাছপালা ও ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। মরসুমি ফল আম, লিচু ও কাঁঠালের ক্ষতি বিপুল। সবজিক্ষেত নষ্ট হয়েছে বহু। কোথাও কোথাও দীর্ঘক্ষণ স্থায়ী হয় ঝড় ও শিলাঝড়।

গতকাল শনিবারের ঝড়ের রেশ কাটতে না কাটতেই ৪০ ঘণ্টার ব্যবধানে রোববার রাতে আবারো কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলায় ঝড় ও সাথে স্মরণকালের ভয়াবহ শিলাবৃষ্টি আঘাত হানে। ঝড় ও শিলাবৃষ্টির তাণ্ডবে ১৩ ইউনিয়নের এ উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের ফসল ও ঘরবাড়ি ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। উপজেলার ব্যাপক এলাকায় ক্ষতি হওয়ায় তাত্ক্ষণিক ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করা না গেলেও প্রাথমিকভাবে অনেকে মনে করছেন ক্ষতির পরিমাণ ১০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে। উপজেলার ক্ষতিগ্রস্ত ইউনিয়ন ৭টি হচ্ছে- সদরপুর, মালিহাদ, কুর্ষা, আমবাড়িয়া, ছাতিয়ান, পোড়াদহ ও আমলা। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেছেন কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসক সৈয়দ বেলাল হোসেন। তিনি পরিবারপ্রতি ২০ কেজি চাল বরাদ্দ ও ফসলের ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের তালিকা তৈরির পর তাদের কৃষিঋণ মওকুফের সুপারিশ, পাশাপাশি তাদের যথাসাধ্য সহায়তা প্রদানের আশ্বাস প্রদান করেন। এ সময় মিরপুর উপজেলার চেয়ারম্যান কামারুল আরেফিন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আজাদ জাহান, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সুশান্ত কুমার প্রামাণিক, মিরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ কাজী জালালউদ্দিন আহমেদ এবং পোড়াদহ ইউপি চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ আরোয়ারুজ্জামান বিশ্বাস মজনু, কুর্ষা ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল হান্নান ও আমবাড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল বারী টুটুল উপস্থিত ছিলেন।

unnamed (1)_279

জেলা প্রশাসক সাংবাদিকদের জানান, ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে কুষ্টিয়া সদর, মিরপুর, দৌলতপুর, কুমারখালী উপজেলার বেশ কয়েকটি ইউনিয়নের সহস্রাধিক বাড়িঘরের টিনের চাল দুমড়ে-মুচড়ে গেছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সদর উপজেলার উজানগ্রাম, আইলচারা, ঝাউদিয়া, আলামপুর, পাটিকাবাড়ি ইউনিয়ন। সদর উপজেলার বোরো ধানসহ সহস্রাধিক হেক্টর জমির শতভাগ ফসল নষ্ট হয়ে গেছে। জেলা প্রশাসক জানান, নিহত ব্যক্তিদের পরিবারকে লাশ দাফনের জন্য প্রাথমিকভাবে ২০ হাজার করে টাকা দেয়া হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের তালিকা করতে ইতোমধ্যে সব এলাকায় সরকারি কর্মকর্তা সরেজমিনে কাজ করছেন। অন্যজন বজ্রপাতে মারা গেছেন।

ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে উপজেলার উজানগ্রাম, আইলচারা, ঝাউদিয়াসহ আরো কয়েকটি ইউনিয়নে শতাধিক বাড়ি-ঘরের টিনের চাল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কুষ্টিয়ার খোকসায় শিলাবৃষ্টি ও ঝড়ে ফসল, ঘরবাড়িসহ ক্ষতির পরিমাণ ২০ লক্ষাধিক টাকা। সোমবার ভোররাতে উপজেলায় বয়ে যাওয়া ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে বেতবাড়িয়া ইউনিয়নের বনগ্রাম, চাঁদট, বামনপাড়া এবং জানিপুর ইউনিয়নের মাছুয়াঘাটা গ্রামে সবিজ, আম, লিচু, কাঁঠাল ও উঠতি ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ২০ লক্ষাধিক টাকা ছাড়িয়ে যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ঝড়ে উপজেলার গোপগ্রামসহ বেশ কিছু গ্রামে কাঁচা ঘর ও গাছের ক্ষতি হয়েছে।

ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি জানান, কালবোশেখি ঝড়ের সাথে শিলাবৃষ্টিতে ঝিনাইদহ জেলার শৈলকুপা উপজেলার ছোট মৌকুড়ি ও পাথরবাড়ে গ্রামে পাঁচ হাজারের মতো পাখি মারা গেছে। গতকাল সোমবার ভোর ৪টার দিকে কালবোশেখি ঝড় ওই গ্রাম দুটিতে আঘাত হানে।

মৌকুড়ি গ্রামের বাসিন্দারা জানান, বেশ কয়েক বছর ধরে গ্রামের একটি বাঁশ ঝাড় ও আশপাশের বাগানে নানা প্রজাতির পাখি আবাসস্থল গড়ে তোলে। গ্রামের মানুষও পাখিদের উত্পাত করে না। তাই পাখির দল নিরাপদে এখানকার গাছপালায় বাসা বাঁধে। নির্বিঘ্নে বংশ বিস্তার করতে থাকে পাখিরা। ভোরবেলায় ঝাঁক বেঁধে পাখিরা বের হতো আর সন্ধ্যায় দলবেঁধে তারা ফিরতো বাড়ি। পাখির কিচিরমিচির শব্দ গ্রামবাসীর মনে অন্যরকম এক ভালো লাগার আবেশ দিয়ে রাখতো।

গ্রামের বাসিন্দারা দুঃখ করে বলেন, গতকালের কালবোশেখি ও শিলাবৃষ্টি পাখিগুলোকে মেরে ফেললো। সকালে দেখি বাঁশবাগান ও আশপাশের এলাকায় অসংখ্য মৃত পাখি ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে আছে। মৃত পাখির মধ্যে বিভিন্ন প্রজাতির শালিক ছিলো বেশি। গ্রামের লোকেরা মৃত পাখিগুলো কয়েক জায়গায় স্তূপ করে রাখে। পাথরবাড়ে গ্রামের একটি বাগানেও একই অবস্থা দেখা যায়।

উল্লেখ্য, দু বছর আগে শৈলকুপা উপজেলার বদনপুর গ্রামে ঝড়ে একটি মেহগনি বাগানে বসবাসরত প্রায় ৭ হাজার পাখি মারা গিয়েছিলো।

ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার পৌর এলাকা কাচেরকোল, সারুটিয়া, ত্রিবেনী, মির্জাপুর, হাকিমপুর ও মনোহরপুর ইউনিয়নের ৫০টি গ্রামে ঝড়ে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। অন্তত ২০ জন আহত হয়। ৮ জনকে শৈলকুপা হাসপাতালে চিকিত্সা দেয়া হয়। গতকাল সোমবার ভোর ৪টার দিকে ঝড় ও শিলাবৃষ্টি শুরু হয়। প্রায় ২০ মিনিট স্থায়ী ছিলো প্রচণ্ড ঝড়-বৃষ্টি। প্রায় ৫শ বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ঝড়ের সাথে শিলাবৃষ্টিতে আম ও লিচুর ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। সারুটিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদুল হাসান মামুন জানান, ঝড়ে তার ইউনিয়নের ১৩ গ্রাম লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে। বাড়িঘর ও গাছপালার ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ১০ জন আহত হয়েছে। বিদ্যুতের পোল ভেঙে গেছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার সন্দ্বীপ কুমার সরকার জানান, ঝড়ের সাথে বড় আকারের শিলাপাতে মাঠের ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। শিলার আঘাতে ঘরের টিনের চালা ঝাঁঝরা হয়ে গেছে। ক্ষয়ক্ষতির বিবরণ তৈরি করা হচ্ছে বলে তিনি জানান।

ঝালকাঠির রাজাপুরে গত রোববার বিকেলে ও গতকাল সোমবার সকালে ঝড়ে গাছপালা, তরমুজ, বাঙ্গি, আম, লিচু বিভিন্ন ফসল ও কাঁচাঘরের ক্ষতি হয়েছে। এতে উপজেলার বিষখালী নদী তীরবর্তী বড়ইয়া ইউনিয়নের বড়ইয়া, পালট ও চল্লিশ কাহনিয়া এবং মঠবাড়ী ইউনিয়নের বাদুরতলা, মানকি সুন্দর ও নাপিতেরহাট গ্রামসহ উপজেলার ৬ ইউনিয়নের বিভিন্নস্থানে গাছপালা, তরমুজ, বাঙ্গিসহ বিভিন্ন ফসল ও কাঁচাঘরের ক্ষতি হয়েছে। বড়ইয়া, পালট ও চল্লিশ কাহনিয়াসহ কয়েকটি গ্রামের বিদ্যুতের তাঁরে গাছ পড়ে বিদ্যুত সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। বিষখালী নদীর পানি ৩-৪ ফুট বৃদ্ধি পেয়েছে। হঠাৎ পানি বেড়ে যাওয়ায় তরমুজ ও বাঙ্গিসহ বিভিন্ন ফসল নিয়ে কৃষক দুশ্চিন্তায় পড়েছে। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের টিন উড়ে গেছে। নেহারুন নেছা দেয়াল চাপা পড়ে মারা গেছেন। প্রচণ্ড ঝড়ের সময় রাহেলা আক্তার আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। একপর্যায়ে তিনি মারা যান। স্বজনদের ভাষ্য অনুযায়ী তিনি হৃদরোগ বা স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে থাকতে পারেন। ঝড়ের পর লোকজন সোমবার সকাল ১০টার দিকে বাড়ির পাশে মাঠ থেকে তাকে থেকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে শিলের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তাকে চিকিৎসা শেষে বাড়িতে নেয়া হয়েছে।

ঘটনাস্থল থেকে ফিরে জামজামি প্রতিনিধি জানিয়েছেন, চুয়াডাঙ্গা আলমডাঙ্গার একাংশ কুষ্টিয়া সদর-মিরপুর-ইবি থানা এলাকার অধিকাংশ এলাকায় গতকাল শেষরাতে কালবোশেখি ঝড়ের সাথে নজিরবিহীন শিলাবৃষ্টির তাণ্ডবে ঘর, মাঠের ফসল-গাছপালা নষ্ট হয়েছে। এ এলাকার মানুষ নিঃস্ব ও ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছে। ২০-২৫ মিনিটের তুমুল ঝড় শিলাবৃষ্টিতে লণ্ডভণ্ড করে দেয় এলাকার সর্বত্র। কুষ্টিয়ার মিরপুরের ছাতিয়ান ইউনিয়নের গঙ্গাতলা গ্রামে পৌঁছুলে দুপুর ২টায় ও ফসলের মাঠে গৃহকোণে -পুকুর ডোবায় শিলাবৃষ্টির সেই বরফ দেখা যায়। এ গ্রামের কৃষক দাউদ আলীর স্ত্রী কাঞ্চন নেছা তার আমের বাগান দেখিয়ে বলেন, গাছে আম নেই পাতাও ছিঁড়ে পড়েছে মাটিতে যেন সবুজ পাতার। এ গ্রামের আতিয়ার রহমানের ছেলে কৃষক সেলিম জানান, শিলাবৃষ্টিতে তার বাড়ির টিনের চালা ভেঙে পড়েছে। মাজিহাটে মইন আলীর একই দশা। মাজিহাট পুলিশ ক্যাম্প সংলগ্ন মাঠের ধানক্ষেত শিলাবৃষ্টির আঘাতে লণ্ডভণ্ড হয়েছে। চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গার ভোদুয়ার যুবলীগ সেক্রেটারি মতিয়ারের ঘরবাড়িসহ এ গ্রামে ৭-৮ বাড়ি ঝড়ে উড়িয়ে নেয়। মাজু, ছত্রপাড়ায় পানবরজ গাছপালা কয়েকটি কাঁচা ঘরবাড়ি উড়িয়ে নিয়ে পরিবারস্বজনদের উন্মুক্ত আকাশের নিচে বসিয়েছে। কুষ্টিয়া সদরের স্বস্তিপুর দহকুলা উজানগ্রাম বিত্তিপাড়া। ইবির হাতিয়া আব্দালপুর ঝাউদিয়া আসাননগরে কালবোশেখি ঝড়ে ঘরবাড়ি গাছপালা ভেঙে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়

আলমডাঙ্গা ব্যুরো জানিয়েছে, ভোররাতে কালবোশেখি ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে আলমডাঙ্গাসহ আশপাশ এলাকার ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। কালবোশেখি ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে আমের মুকুল, ধান, ভুট্টা, কলা, পানসহ বিভিন্ন ধরনের ফসলের সীমাহীন ক্ষয়ক্ষতিতে এ এলাকার কৃষকেরা দিশেহারা হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে আলমডাঙ্গা উপজেলার ছত্রপাড়া, মাজু, অভয়নগর, ডাউকি, ভোদুয়া, কুষ্টিয়া জেলার ইবি থানার শঙ্করদিয়া, নাটানা করিমপুর, নরহরদিয়াসহ আশপাশ এলাকার পানচাষিদের বেশি ক্ষতি হয়েছে। এসব এলাকায় প্রায় অর্ধশত বিঘা পানবরজ শনিবার ভোররাতে কালবোশেখি ঝড়ে ও শিলাবৃষ্টিতে মাটির সাথে ঘুড়িয়ে দিয়েছে। ছত্রপাড়া গ্রামের পানচাষি বুলবুলের কাছে তার ক্ষতি কথা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার ১৫ কাঠা পানবরজ ঝড়ে মাটির সাথে মিশিয়ে দিয়েছে। এখন এ বোরজ আবার আগে মতো দাঁড় করাতে প্রায় ৩০-৪০ হাজার টাকা খরচ হবে। এছাড়াও একই গ্রামের শিবলীর ১০ কাঠা, আয়ুব আলীর ১৫ কাঠা, আমিরুলের ১০ কাঠা, নজরুলের ১০ কাঠা, শাহাবুলের ১০ কাঠা ও হানেফ আলীর ৫ কাঠা। ছত্রপাড়ার অভয়নগরসহ আশপাশ এলাকায় প্রায় অর্ধশত পানবরজ ঝড়ে মাটির সাথে ঘুরিয়ে দিয়েছে। এছাড়াও এসব এলাকার কৃষকের কলা ও ধানে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। কয়েকজন ধানচাষিদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, এখন ধানের মুছা বের হওয়ার সময়, আর এ ঝড়ের কারণে প্রতিবিঘা ধানের ২৫ ভাগ চিটে হয়ে যাবে।

Leave a comment