আট মাসেই ভেঙে গেলো হৃদয়-সুজানার সংসার

স্টাফ রিপোর্টার: বিয়ের মাত্র আট মাসের মাথায় বৈবাহিক জীবনের ইতি টানলেন কন্ঠশিল্পী হৃদয় খান ও মডেল সুজানা। কথায় আছে সেলিব্রেটিদের বিয়ে মানে পৌষের পিরীতি আর বালির বাধের মতো। এ দুজনের সম্পর্কের ভাঙনে সেটি আবারও প্রমাণিত হলো।

সাড়ে তিন বছর প্রেম করার পর গত বছরের ১ আগস্ট মডেল সুজানাকে বিয়ে করেন হৃদয়। এটি ছিলো তাদের দুজনেরই দ্বিতীয় বিয়ে। বিয়ের তিন মাস পরই তাদের দাম্পত্য জীবনে টানাপোড়েন দেখা দেয়। উভয়ের মধ্যে বনিবনা না হওয়ায় চার মাস ধরে আলাদা থাকতেন হৃদয় খান ও সুজানা। গতকাল সোমবার বিকেল চারটার দিকে ঢাকার মনিপুরিপাড়ায় একটি কাজি অফিসে হাজির হয়ে তালাকনামায় স্বাক্ষর করেন হৃদয় খান। সুজানাও তালাকনামা স্বাক্ষর করবে বলে তার ঘনিষ্ঠজনরা জানিয়েছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিয়ের আগে প্রতিশ্রুতি দিলেও ঘর বাধার পর স্বাধীনভাবে কাজ করার অধিকার ছিলো না সুজানার। নানান বিষয়ে সুজানাকে বাঁধা দিতেন হৃদয়। ঘনিষ্ঠজনদের কাছে এমনই অভিযোগ করেছেন সুজানা। তবে বিষয়টিকে মানিয়ে নেয়ার অনেক চেষ্টা করেও কোনো সুফল পানি বলে দাবি করেছেন তিনি। সুজানা জানান, সংসার ঠিক রাখতে অনেক ছাড়ও দিয়েছেন। তবুও বিচ্ছেদ চাননি।

সংসার টিকিয়ে রাখতে চেয়েছিলেন একটি সমাধান। শেষতক কোনো বোঝাপড়া হয়নি দুজনের মাঝে। এ ব্যাপারে হৃদয় খানের বক্তব্য হলো, সুজানা কিছুতেই সংসারী হতে চায়নি। বিয়ের পরও তার চলাফেরায় পরিবর্তন আসেনি। হৃদয় খানের একটি গানের মিউজিক ভিডিওর মডেল হয়েছিলেন সুজানা। এরপর তার থেকে সাত বছরের বড় সুজানাকে ভালো লেগে যায় হৃদয় খানের। সেই ভালো লাগা রূপ নেয় ভালোবাসায়। তিন বছরের প্রেমের পর হৃদয় খানের প্রেমের ডাকে সাড়া দিয়ে ঘর বাধেন তারা।

২০১০ সালের শুরুর দিকে পূর্ণিমা আকতার নামের একটি মেয়েকে পালিয়ে বিয়ে করেছিলেন হৃদয় খান। ছয় মাসের মাথায় হৃদয় খানের সেই সংসার ভেঙে যায়। এর আগে সাত বছর প্রেম করেন নওরীন নামের আরেকজন মেয়ের সাথে। অন্যদিকে ২০০৬ সালে ঢাকার একটি বায়িং হাউসের কর্মকর্তা ফয়সাল আহমেদেকে প্রথম বিয়ে করেন সুজানা। তার সেই বিয়ে টিকেছিলো মাত্র চার মাস।